মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতিতে মদত দিচ্ছেন সংগঠনের নেতারা, এমন অভিযোগ জানিয়ে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিটের সব নেতা একযোগে পদত্যাগ করলেন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস এবং নিউ টাউন ক্যাম্পাসের বিক্ষুব্ধ পদাধিকারীরা ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মীর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন পদত্যাগীরা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা তৃণাঙ্কুর বলেন, ‘‘সব অভিযোগও খতিয়ে দেখা হবে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এটা একেবারেই সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা খুব তাড়াতাড়ি নতুন কমিটি তৈরি করব। তবে আমরা নিশ্চিত যে, আলিয়ার পড়ুয়ারা আগের মতোই টিএমসিপির সঙ্গেই রয়েছে।’’ তবে পড়ুয়াদের মধ্যে যে পরিমাণে ক্ষোভ জমছে তাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই নেতার বিবৃতিতে যে চিঁড়ে ভিজবে না তা বলা বাহুল্য।
সংখ্যালঘু ছাত্রদের জন্য মমতার আমলেই গড়ে ওঠে এই বিশ্ববিদ্যালয়
শুধুমাত্র সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় (Aliah University) তৈরি হয় তৃণমূলের আমলেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি ক্যাম্পাস তৈরি করেন। তবে দীর্ঘ দিন ধরেই নানা রকমের অভিযোগ উঠছিল বলে জানা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নেই দীর্ঘদিন ধরেই। সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এই সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন। কেরলের অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস এম ওয়াহাবের নাম অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসাবে ঘোষণা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
কী বলছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র নেতারা?
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসের টিএমসিপি সাধারণ সম্পাদক ওয়াদিল আলম পদত্যাগের বিষয়ে বলেন, ‘‘আলিয়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এখানে নানা অনিয়ম চলছে। লেখাপড়া তো হচ্ছেই না, তার সঙ্গে একের পর এক দুর্নীতি হয়ে চলেছে। সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বার বার অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় আমরা ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ পদত্যাগীদের আরও দাবি, পড়ুয়ারাও ক্ষুব্ধ। একদিনে এই ক্ষোভ তৈরি হয়নি বলেও দাবি তাঁদের। পড়ুয়াদের স্বার্থপূরণ হয়নি বলেই পদত্যাগের এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তাঁরা। নানা অনিয়মের অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) গেট থেকে সাইকেল স্ট্যান্ড তৈরিতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই নাকি দুর্নীতি হয়েছে। টেন্ডার ছাড়াই একজনকে হোস্টেলের খাবারের কনট্রাক্ট দেওয়া হয়েছে। এসব নানা অভিযোগ উঠছে। যার বিরুদ্ধে এত অভিয়োগ সেই মীর সিদ্দিকি এদিন বলেন, ‘‘আমি সংগঠনের স্বার্থেই যা করার করেছি। কোনও অন্যায় কাজের সঙ্গে আমি যুক্ত নই।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours