One Nation One Election: ‘এক দেশ এক ভোট’, আইন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, জানালেন মন্ত্রী

‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের গতিও বাড়বে...
vote
vote

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এক দেশ এক ভোটে’র (One Nation One Election) পক্ষে বারংবার সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ফের একবার এক দেশ এক ভোট নীতি কার্যকরের পক্ষে সওয়াল করল নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল জানান, ওই নীতি কার্যকরের দিকগুলি খতিয়ে দেখার জন্য আইন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “এর ফলে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে, তা রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের প্রচারে ব্যয় হতে পারে। এই নীতি কার্যকর হলে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের গতিও বাড়বে।”

মোদি সরকারের যুক্তি 

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে পরেই ‘এক দেশ এক ভোটে’র তত্ত্বের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর যুক্তি ছিল, লোকসভার সঙ্গেই দেশের সব বিধানসভার নির্বাচন সেরে নিলে কমবে নির্বাচনী ব্যয়। কেবল তাই নয়, উন্নয়নমূলক কাজের গতিও বাড়বে। একই ভোটার তালিকায় দুই নির্বাচন হলে কর্মীদের তালিকা তৈরির কাজের চাপও কমবে। মোদি সরকারের এই ভাবনাকে সমর্থন করেছিল নীতি আয়োগ, আইন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশন।

‘এক দেশ এক ভোট’ 

‘এক দেশ এক ভোট’ (One Nation One Election) নীতি লাগু করতে গেলে সংবিধানের বেশ কিছু অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে বলেও সরকারি সূত্রে খবর। সংবিধানের ৮৩ নম্বর অনুচ্ছেদে সংসদের দুই কক্ষের মেয়াদের কথা বলা হয়েছে। ৮৫ নম্বর অনুচ্ছেদে লোকসভা ভেঙে দেওয়ার নিয়ম বলা হয়েছে। ১৭২ নম্বর অনুচ্ছেদে রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদের কথা বলা হয়েছে। ১৭৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার নিয়মের উল্লেখ করা হয়েছে। ৩৫৬ নম্বর ধারায় রয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি সংক্রান্ত নিয়ম। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনও সংশোধন করা প্রয়োজন হতে পারে।

আরও পড়ুুন: “কৃষ্ণ-রুক্মিণীর বিয়ে লাভ জিহাদ”! কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের কী জবাব দিলেন হিমন্ত?

বিজেপি ‘এক দেশ এক ভোট’ (One Nation One Election) নীতি লাগু করার পক্ষে সওয়াল করলেও, বিরোধী দলগুলি এই নীতির সমালোচনায় মুখর প্রথম থেকেই। তাদের মতে, এই নীতি নিয়ে মোদি সরকার ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী। এক দেশ এক ভোট নীতি চালু হওয়ার পরে কেন্দ্রে বা কোনও রাজ্যে পাঁচ বছরের আগেই নির্বাচিত সরকার পড়ে গলে কী হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles