মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার তালিবানি ফতোয়া চিনেও! দেশবাসীর ভাবাবেগে আঘাত লাগে এমন কোনও পোশাক (Chinese Dress Code) পরা যাবে না সে দেশে। এমনই একটি আইনের খসড়া প্রস্তুত করেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। নয়া আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে এমন কোনও পোশাক পরা যাবে না। এমন কোনও চিহ্নও ব্যবহার করা যাবে না।
জরিমানার বিধান
আইন ভাঙলে ১৫ দিনের জেল বা ৫ হাজার ইয়েন (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৬ হাজার টাকা) জরিমানা গুণতে হবে। চিনের ভাবাবেগে আঘাত করে এমন কোনও কথাও বলা যাবে না। ওই ধরনের কোনও প্রতিবেদনও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। স্থানীয় হিরো এবং শহিদদের সম্পর্কেও কোনও কটু কথা বলা যাবে না। তাঁদের মূর্তি ভাঙলেও ভোগ করতে হবে কড়া সাজা। ২০১২ সালে চিনের কুর্সিতে বসেন জিনপিং। তারপর থেকে একের পর এক আদর্শ আরচণবিধি চালু করে চলেছেন তিনি।
ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ?
তবে ঠিক কী ধরনের পোশাক (Chinese Dress Code) পরতে হবে, তা বলা হয়নি খসড়া আইনে। যেমন বলা হয়নি, কোন ধরনের পোশাক পরা যাবে না। চিনাদের একাংশের প্রশ্ন, তবে কী এবার থেকে পাশ্চাত্যের কোনও পোশাক পরা যাবে না? তাঁদের মতে, চিনা নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে জিনপিংয়ের সরকার।
চিনের ইউনিভার্সিটি অফ পলিটিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক ঝাও হং বলেন, “শত্রুতা চরিতার্থ করতে সহজেই পুলিশ এই আইনের অপব্যবহার করতে পারে। গত বছর সুঝৌ প্রদেশে এক মহিলাকে আটক করা হয়। জাপানি পোশাক কিমোনো পরে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন তিনি।” চিনা আইনজীবীদের একাংশও মনে করছেন, প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় অনেক বিষয়ই স্পষ্ট নয়। এই প্রস্তাব আইনে পরিণত হলে নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে।
আরও পড়ুুন: মোদির সঙ্গে সেলফি তুললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, ‘জি২০ সম্মেলন সফল’, জানালেন আলবানিজ
২০১৯ সালে চিন (Chinese Dress Code) দেশবাসীর জন্য আদর্শ আচরণ বিধি সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করে জিনপিংয়ের সরকার। তাতে বলা হয়েছিল, নাগরিকদের নম্র আচরণ করতে হবে। জিনপিং এবং তার দলের ওপর আস্থা রাখতে হবে। পায়ে ধুলো লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানো চলবে না। পড়শি দেশ আফগানিস্তানে পোশাক ফতোয়া চালু হয়েছে বছর তিনেক আগে, তালিবান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর। এবার কী সেই একই ফতোয়া চালু হতে চলেছে ড্রাগনের দেশে? প্রশ্ন চিনা নাগরিকদেরই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours