মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের গোড়ায় জল দিয়ে যে বিষবৃক্ষকে বড় করে তুলেছে পাকিস্তান, তার ফল ফলতে শুরু করেছে। শুক্রবার বালুচিস্তানের মাস্তং জেলার সদর শহরে ধর্মীয় জমায়েতে ঘটে মানববোমা বিস্ফোরণ (Pakistan Blast)। বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন অন্তত ৫২ জন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন এক ডিএসপি সহ বালুচিস্তান পুলিশের কয়েকজন কর্মীও। গুরুতর জখম হয়েছেন ১৫০-র কাছাকাছি। ঘটনার জেরে ত্রস্ত গোটা মাস্তং জেলা।
এ মাসের শুরুতেও হয়েছিল বিস্ফোরণ
এদিন যে এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি, বালুচ ন্যাশনালিস্ট আর্মির পাশাপাশি সক্রিয় তেহরিক-ই-তালিবান। পাক সেনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরালো করতে সম্প্রতি বালুচদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান। এ মাসের প্রথম দিকে একবার বিস্ফোরণ (Pakistan Blast) ঘটেছিল মাস্তংয়ে। সেবার মৃত্যু হয়েছিল ইসলামাবাদপন্থী জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের ফজল নেতা হাফিজ হামিদুল্লা। তাঁর মৃত্যুর জন্য কারা দায়ী, তা আজও জানা যায়নি। ঘটনার পরে পরেই বিস্ফোরণের দায় অস্বীকার করে বিবৃতি দেয় তেহরিক-ই-তালিবান।
বিস্ফোরণের অভিঘাত
এদিনের বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে মাস্তংয়ের সহকারি কমিশনার (এসি) আত্তাহুল মুনিম জানান, আলফালাহ রোডে মদিনা মসজিদের সামনে ঈদ-ই-মিলাদুন উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত জমায়েতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। হতাহতদের দ্রুত শহিদ নবাব ঘৌস বখশ রাইসানি মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে বেশ কিছু যানবাহন এবং আশপাশের কয়েকটি দোকানেরও ক্ষতি হয়েছে। বালুচিস্তান এলাকাটি প্রাকৃতিকভাবে সম্পদশালী। ক্রমেই তা বেহাত হয়ে যাচ্ছে বালোচদের।
Deeply saddened by the cowardly attack on innocent people during Eid Miladun Nabi (SAW) procession in Mastung. Such heinous acts are highly condemnable and have no place in our country. May the victims rest in peace, and may justice be swift for those responsible.
— Shehbaz Sharif (@CMShehbaz) September 29, 2023
দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে লোকজন এসে থাবা বসাচ্ছে বালোচদের সম্পদে। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর তৈরির পরে গত কয়েক বছরে বেড়েছে প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠের পরিমাণ। সেই কারণেই চড়ছে বালোচদের ক্ষোভের পারদ।
আরও পড়ুুন: বিজেপিকে জেতানোর অপরাধ! কেটে দেওয়া হল বাঁশের সাঁকো, অভিযুক্ত তৃণমূল
১৯৪৭ সালের ১১ অগাস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল দেশীয় রাজ্য কালাত। পরে নাম হয় বালুচিস্তান। তার পরের বছর ২৭ মার্চ পাকিস্তানি সেনা দখল নেয় বালুচিস্তানের। তার পর থেকে স্বাধীনতার দ্বিতীয় লড়াই লড়ছেন বালোচরা। ‘বালুচিস্তানের গান্ধী’ বলে পরিচিত স্বাধীনতাপন্থী নেতা আবদুল কাদির বালোচ বছর কয়েক আগে দিল্লি এসে বলেছিলেন, “আমরা চাই (Pakistan Blast) একাত্তরে ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল, সেভাবেই বালুচিস্তানের পাশে দাঁড়াক।” বালুচিস্তানের ওপর পাক নিপীড়িন বন্ধে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাতে সরব হন, সেই আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours