মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগাস্ট মাসে হাসপাতালে অস্ত্রপচার হয়েছে কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku)। অক্টোবর মাসের অর্ধেক দিন অতিবাহিত। প্রায় দু মাস হাসপাতালেই রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য এতদিন কেন তিনি হাসপাতালে? তা খতিয়ে দেখতেই হাসপাতালে হাজির হলেন ইডির কর্তারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আচমকা হানায় এসএসকেএম হাসপাতালে রীতিমতো আলোড়ন তৈরি হয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দার্ঘদিন হাসপাতালে কালীঘাচের কাকু ভর্তি থাকার ফলে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না ইডি। অন্যদিকে আদালতেরও নির্দেশ রয়েছে, শীঘ্রই তদন্ত শেষ করার। তাই ইডির এই আচমকা হানা।
সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে কথা ইডি অফিসারদের
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Kalighater Kaku) সঙ্গে ইডি অফিসাররা এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে কথাও বলেন। এর পাশাপাশি মঙ্গলবার চিকিৎসকদের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারদেরও কথা বলতে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কী ধরনের সমস্যা রয়েছে! সেই সংক্রান্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তা হাতে পাওয়ার পরই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেবেন ইডি আধিকারিকরা। তারপরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এসএসকেএম হাসপাতাল যেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কাছ থেকে বাঁচার একমাত্র আস্তানা। এর আগেও সমন পেতেই মদন মিত্র বা পার্থ চট্টোপাধ্যায় অথবা অনুব্রত মণ্ডলদের এখানে ভর্তি হতে দেখা গিয়েছে।
চলতি বছরের ৩০ মে গ্রেফতার হন কালীঘাটের কাকু
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি গ্রেফতার করে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে (Kalighater Kaku)। চলতি বছরের ৩০ মে গ্রেফতার হন কালীঘাটের কাকু। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র লিপস অ্যান্ড বাউন্সের অন্যতম কর্তা বলে নিজেকে দাবি করেছিলেন বারবার। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্যার সম্বোধনও করতে থাকেন তিনি। বহুবার তাঁকে তলব করে ইডি, তাঁর বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টানা কয়েকমাস নজরদারি চালানোর পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours