মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “টাটা গোষ্ঠীকে ক্ষতিপূরণ সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় নয়, দিতে হবে তৃণমূলের ফান্ড থেকে।” মঙ্গলবার এমনই দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “তৃণমূলের পার্টি ফান্ডে নির্বাচনী বন্ডে ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে। এর মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা দিয়েছে ডিয়ার লটারি। সেই টাকা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হবে। ওরা ডিএ-র মতো উচ্চ আদালতে যাবে। কিন্তু কিছু লাভ হবে না।”
আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
টাটাকে ক্ষতিপূরণের টাকা তৃণমূলের ফান্ড থেকে দেওয়া না হলে বিধানসভার ভিতরে-বাইরে আন্দোলন হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, “এই আজকে উনি (মুখ্যমন্ত্রী) নবান্ন যাচ্ছেন। পুজোয় মদ বিক্রি করে যে ৬০০ কোটি টাকা পেয়েছেন, তা এভাবেই বেরিয়ে যাবে।” তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকেও নিশানা করেছেন শুভেন্দু। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে। ৭০ জন চেয়ারম্যান ও ১৪ জন বিধায়ক সব ডুবে দুর্নীতিতে। বাংলায় বর্তমান সরকারের মন্ত্রী থেকে জনপ্রতিনিধিরা যেভাবে চুরির সঙ্গে যুক্ত, তা ইডি ও সিবিআই প্রকাশ্যে আনছে। শিক্ষা থেকে খাদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতৃত্ব যেভাবে ইডি ও সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হচ্ছেন, তাতে বর্তমান সরকারের সমালোচনা বেড়ে চলেছে। সামনে ২৪ লোকসভা নির্বাচন। তাতে কতটা প্রভাব পড়বে, তা বলবে সময়।”
রাজ্যকে বাণ লকেটেরও
সিঙ্গুর ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন হুগলির সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “শিল্প তাড়িয়ে দেওয়ার অভিশাপ পেতে হচ্ছে বাংলার মানুষকে। এই রায়ে প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা রাজ্যকে দিতে হবে। এদিকে না হয়েছে শিল্প, না জমি ফেরত পেল কৃষকরা। সরকার এই টাকা কীভাবে দেবে? দিতে হলে তারা জনগণের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেবে। রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা প্রত্যেকটা দল যেমন সিপিএম নিজের মতো করে রাজনীতি করে গিয়েছে। এরপর তৃণমূল নিজের মতো করে রাজনীতি করছে। কিন্তু আখেরে রাজ্যের কোনও লাভ হয়নি। জমি ফেরত দেওয়ার নামে এরা শিল্পটাকে বন্ধ করেছে (Suvendu Adhikari)।”
আরও পড়ুুন: ‘‘এত বড় শিল্পপতিকে ওখান থেকে সরানো ঠিক হয়নি’’, সিঙ্গুর ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিলীপের
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours