মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার অনুপ ঘোষাল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮। শুক্রবার কলকাতায় নিজের বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। নজরুলগীতির জন্যই সঙ্গীত জগতে সুনাম কুড়িয়েছিলেন অনুপ ঘোষাল। নজরুলগীতি ছাড়াও ঠুমরি, খেয়াল, ভজন, রাগপ্রধান, রবীন্দ্র সঙ্গীত, দ্বিজেন্দ্রগীতি, রজনীকান্তের গান, আধুনিক বাংলা গান এবং লোকগীতিতে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। তবে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত 'গুপী গাইন বাঘা বাইন', 'হীরক রাজার দেশে'র মতো ছবিতে গান গেয়ে পেয়েছিলেন বিশ্বজোড়া খ্যাতি।
গুপীর গানের নেপথ্যে
মায়ের উৎসাহেই মাত্র চার বছর বয়সে অনুপ ঘোষালের সঙ্গীতের তালিম শুরু হয়। শিল্পীর যখন ১৯ বছর বয়স তখন সত্যজিৎ রায়ের নজরে পড়েন। এর ফলে সৃষ্টি হয় "ভূতের রাজা দিল বর"-এর মতো কালজয়ী গান। ১৯৮০ সালে মুক্তি পায় ‘হীরক রাজার দেশে’। ১৯৮১ সালে ‘হীরক রাজার দেশে’র জন্য জাতীয় পুরস্কারও পান তিনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১১ সালে তাঁকে ‘নজরুল স্মৃতি পুরস্কার’ ও ২০১৩ সালে ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’ প্রদান করে। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, “অনুপ ঘোষালের প্রয়াণে সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি অনুপ ঘোষালের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”
আরও পড়ুুন: বৈঠক ডাকতে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা, সাফ জানালেন রাজ্যপাল
অন্য ভাষায় গান
শুধু বাংলাতেই নয়, হিন্দি, ভোজপুরি ও অসমিয়া ভাষাতেও গান গেয়েছেন তিনি। ‘মাসুম’ ছবির ‘তুঝসে নারাজ নহি জিন্দেগি’ আজও কেউ ভুলতে পারেননি। তপন সিনহা পরিচালিত 'সাগিনা মাহাতো' চলচ্চিত্রে তিনি প্রথমবার সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে কাজ করেন। দেবব্রত বিশ্বাসের কাছ থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীতের শিক্ষা নিয়েছিলেন তিনি। হিউম্যানিটিজ নিয়ে আশুতোষ কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন শিল্পী। পরে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকত্তর ও পিএইচডি করেন। সঙ্গীতজগতের পাশাপাশি অনুপবাবু পা রেখেছিলেন রাজনীতিতেও। ২০১১ সালে তৃণমূলের হয়ে উত্তরপাড়া বিধানসভায় বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে ওই একবারই ভোটে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours