মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র কাগজের ফাইল, খারাপ হয়ে যাওয়া অফিস সরঞ্জাম এবং বাতিল যানবাহনের মতো আবর্জনা (Scrap Selling) বিক্রি করেই ১,১৬৩ কোটি টাকা আয় করল কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে এইসব আবর্জনা বিক্রি করে সরকার আয় করেছে ১,১৬৩ কোটি টাকা। ইসরোর চন্দ্রযান-৩ অভিযান ভারতের কাছে ২০০৩ সালের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এই অভিযানে খরচ হয়েছিল প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। আর আবর্জনা বিক্রি করেই তার দ্বিগুণ টাকা তুলে ফেলল মোদি সরকার (Modi Government)। যা এক নয়া রেকর্ড।
রেকর্ড আয়
‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র দৌলতে গুরুত্বপূর্ণ সব সরকারি তথ্য এখন কম্পিউটারেই নথিবদ্ধ করা হয়। সেই কারণে কাগজে লেখার চল আর তেমন নেই বললেই চলে। ফলে ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি দফতর সাফাই অভিযান শুরু হয়। প্রায় ৯৬ লক্ষ কাগজের নথিপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে অফিসগুলিতে প্রায় ৩৫৫ লক্ষ বর্গফুট জায়গা খালি হয়েছে। শুধুমাত্র চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই আয় হয়েছে ৫৫৭ কোটি টাকা। প্রায় ২৪ লক্ষ কাগজের ফাইল বাতিল হয়েছে চলতি বছরেই। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস অ্যান্ড পাবলিক গ্রিভেন্স বিভাগের সচিব, ভি শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, ওই এক মাসে, ভারতে এবং বিদেশের ২,৫৮,৬৭৩টি অফিসে স্বচ্ছতা অভিযান (Scrap Selling) চলেছে।
আরও পড়ুন: আজ অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, বিমানবন্দর থেকে রেল স্টেশন একগুচ্ছ কর্মসূচি
কোন মন্ত্রকের কত আয়
আবর্জনা বিক্রির (Scrap Selling) ৫৫৭ কোটি টাকার মধ্যে মোদি সরকারের (Modi Government) সিংহভাগ এসেছে রেল মন্ত্রক থেকে। তাদের আয় হয়েছে প্রায় ২২৫ কোটি টাকা। এর পর রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, আয় ১৬৮ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক। আয় ৫৬ কোটি টাকা। আর চতুর্থ স্থানে রয়েছে কয়লা মন্ত্রক, আয় ৩৪ কোটি টাকা। তবে, তারা আবার অফিসের জায়গা খালি করার দিক থেকে সবার আগে আছে। কয়লা মন্ত্রক খালি করেছে ৬৬ লক্ষ বর্গফুট জায়গা। এরপর রয়েছে ভারী শিল্প মন্ত্রক, ২১ লক্ষ বর্গফুট। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক খালি করেছে, ১৯ লক্ষ বর্গফুট অফিস স্পেস। বিদেশ মন্ত্রক চলতি বছরে প্রায় ৩.৯ লক্ষ ফাইল বাতিল করেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours