Anti Hindu Violence: বাংলাদেশের অন্যতম সতীপীঠ চন্দ্রনাথ মন্দিরের দখল নিচ্ছে মৌলবাদীরা?

৫১ সতীপীঠের অন্যতম বাংলাদেশের চন্দ্রনাথ মন্দিরে হামলা উগ্র মৌলবাদীদের...
CHANDRANATH_TEMPLE_CHITTAGONG
CHANDRANATH_TEMPLE_CHITTAGONG

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের হিন্দু পীঠস্থানগুলি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এই তালিকায় নবতম সংযোজন চট্টগ্রামের চন্দ্রনাথ মন্দির। কয়েক দিন ধরেই চট্টগ্রামের চন্দ্রনাথ মন্দিরকে ঘিরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনার (Anti Hindu Violence) খবর মিলেছে। এরই মধ্যে দুষ্কৃতীদের হামলায় চন্দ্রনাথ ধামের ১০ জন ভক্ত আহত হয়েছেন তিন দিন আগেই। চন্দ্রধাম হল হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান। ভক্তদের বিশ্বাস এখানে মাতা সতীর ডান হাত পড়েছিল। এক হাজার কুড়ি ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের উপর অবস্থিত এই মন্দির হিন্দুদের (Anti Hindu Violence) পবিত্র আস্থাস্থল বলে পরিচিত। বহু পুণার্থী এখানে আসেন তাঁদের মনস্কামনা পূরণের জন্য।

মন্দির চত্বরেই চলছে গো-মাংস রান্না!

অভিযোগ, পবিত্র এই ধর্মস্থানে উঠে এসেছে বেশ কিছু মুসলিম দোকানদার, ততদূর পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু এই সমস্ত দোকানগুলিতে এমন কিছু কাজ করা হচ্ছে যা হিন্দু ধর্মের (Anti Hindu Violence) ভাবাবেগে আঘাত লাগছে। ২০২২ সালের পর থেকেই চন্দ্রনাথ মন্দিরের আশপাশের এই দোকানগুলিতে গরুর মাংস রান্না করার অভিযোগ ওঠে এবং কিছু উগ্র মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যরা পাহাড়ি এই মন্দিরে ঘনঘন যাতায়াত শুরু করে। এতেই বোঝা যায় তাদের উদ্দেশ্য। মন্দির চত্বরকে অপবিত্র করা এবং ভক্তদের উপর হামলার ঘটনায় সে দেশের সংখ্যালঘু সংগঠন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বর্তমানে উগ্রপন্থী মুসলমানরা মন্দির চত্বরে 'আল্লাহু আকবর' এবং 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' ধ্বনি তুলছে এবং মন্দিরকে ঘিরে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছে।

মৌলবাদীরা রাজনৈতিক মদতপুষ্ট

বাংলাদেশের ওই সংখ্যালঘু সংগঠনের আরও অভিযোগ, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকেই মন্দিরের (Anti Hindu Violence) চত্বরে নামাজের আয়োজন করে মৌলবাদীরা এবং মন্দিরের পাশেই একটি মসজিদ বানানোর পরিকল্পনা শুরু করে। এর পাশাপাশি সেখানে  নানা গুজবও ছড়ানো হতে থাকে। জানা গিয়েছে, এই ধরনের কার্যকলাপ যারা করছে তারা সবাই জামাতের সদস্য। এই জামাত আবার বিএনপি বা বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে জোটে রয়েছে। আবার এই ধরনের কার্যকলাপে যুক্ত অনেকেই হেফাজত-এ-ইসলাম বাংলাদেশ নামে সংগঠনের সদস্য। যাদের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে আবার শাসকদল আওয়ামি লিগের। ডিসেম্বর মাস পড়তেই এই বিবাদ চরম আকার ধারণ করতে শুরু করে। সেখানে দর্শন করতে যাওয়া অনেকের কাছেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এর পাশাপাশি উগ্রপন্থীরা উস্কানিমূলক স্লোগানও দিতে থাকে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles