মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার মধ্যরাতে ১৫ থেকে ২০ রকম ভঙ্গিতে কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku)। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ১৫-২০ রকম স্বরক্ষেপণের ভঙ্গি সংগ্রহ করতে দিল্লি থেকে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির এক বিশেষজ্ঞ এসেছিলেন কলকাতায়। নমুনা সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবারই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি। ইডির অনুমান, সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই কণ্ঠস্বরের নমুনার রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে। তার পরে তা পেশ করা হবে আদালতে।
কী বলছেন ইডি আধিকারিক?
ইডি সূত্রের খবর, ‘কাকু’র একাধিক ভয়েস কল রেকর্ডিং মোবাইল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল আগেই। ওই কথোপকথন একাধিক ভাগে ভাগ করা হয়, তার সঙ্গে মিলিয়েই গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, ‘‘সুজয় (Kalighater Kaku) ঠিক যেমন ভাবে ফোনে কখনও উচ্চস্বরে, কখনও নিম্নস্বরে কথা বলেছিলেন, ঠিক তেমন ভাবেই বুধবার রাতে তাঁকে কথা বলতে বলে, তাঁর গলার স্বরের নমুনা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে একই কথা একাধিক বার বলানো হয়েছে।’’
কীভাবে হয় এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট?
অপরাধীদের ধরতে ফরেন্সিক সায়েন্সে একাধিক পদ্ধতি রয়েছে, যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ, ডিএনএ অ্যানালিসিস ইত্যাদি। তার মধ্যেই একটি হল এই কণ্ঠস্বর পরীক্ষা বা ফরেন্সিক ভয়েস অ্যানালিসিস। একে অনেক সময় ফরেন্সিক ভয়েস কম্প্যারিসনও বলা হয়। মোবাইল ফোনের অডিও রেকর্ড, ভয়েস রেকর্ডিং-এর গলার স্বরের সঙ্গে অভিযুক্তের গলার স্বরের মিল আছে কিনা বা দুটি মানুষই একই কিনা তা বোঝা যায় এই পদ্ধতিতে। ভয়েস স্যাম্পেল বা কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। এর জন্য যাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হবে তাঁকে একটি লেখা পড়তে দেওয়া হয়। কীভাবে তিনি পড়ছেন, গলার পিচ বা তীব্রতা, স্বরের ফ্রিকুয়েন্সি বা কম্পাঙ্ক, উচ্চারণ পদ্ধতি, স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণ ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। কোনও প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দিচ্ছেন, কোন ক্ষেত্রে গলার স্বরের তীব্রতা বাড়ছে, উত্তেজিত হলে গলার স্বরে কতটা বদল আসছে, ভয় বা টেনশন হলে স্বরে কী কী বদল হচ্ছে এসব কিছুও খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours