Child Marriage: দেশে কমলেও বাল্য বিবাহ বাড়ছে বাংলায়, ল্যানসেটের রিপোর্টে বাড়ছে উদ্বেগ

দেশে কমেছে, বাল্য বিবাহে এগিয়ে তৃণমূলের বাংলা, বলছে রিপোর্ট...
marriage-1404623-1280-1641891035
marriage-1404623-1280-1641891035

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে এখনও চলছে নাবালিকার বিয়ে (Child Marriage)। তবে সংখ্যাটা আগের চেয়ে ঢের কমেছে। বর্তমানে ভারতে প্রতি পাঁচজন বিবাহিতা নারীর মধ্যে একজন নাবালিকা। প্রতি ছ’ জন পাত্রের একজন নাবালক। গোটা দেশের এই ছবিই উল্টে গিয়েছে বাংলায় এসে। ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এ রাজ্যে পাঁচ লক্ষেরও বেশি নাবালিকা গিয়েছে ছাদনাতলায়, বসেছে বিয়ের পিঁড়িতে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে যেখানে বাল্য বিবাহের হার গড়ে ২৩.৩ শতাংশ, সেখানে বাংলায় ৪২ শতাংশ নাবালিকার বিয়ে হয়ে যায় ১৮-য় পা দেওয়ার আগেই। 

ল্যানসেট পত্রিকা

তামাম বিশ্বে ল্যানসেট পত্রিকার জনপ্রিয়তার অন্যতম প্রধান কারণ তার তথ্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন। এই পত্রিকায়ই তুলে ধরা হয়েছে বাংলায় নাবালিকা বিয়ের করুণ ছবি। ২০১৯-২০-র জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষার রিপোর্টেও মিলেছিল বাংলায় বাল্যবিবাহের চোখে জল আনা ছবি। ল্যানসেটের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ১৯৯৩ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ভারতে নাবালিকা বিয়ের হার ৪৯.৪ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ২২.৩ শতাংশ। বাল্য বিবাহ (Child Marriage) রুখতে নানা পদক্ষেপ করছে সরকার। চালু হয়েছে একাধিক প্রকল্পও।

বাল্য বিবাহ রুখতে নানা প্রকল্প

১৮ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েদের বিয়ে দেওয়া না হলে কন্যাশ্রী কিংবা রূপশ্রী প্রকল্পে টাকা মেলে। টিন-এজ মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য রয়েছে নানা প্রকার বৃত্তি। সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে একাধিক। তার পরেও বেড়ি পরানো যায়নি বাল্যবিবাহের পায়ে।


ল্যানসেটের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে বাল্যবিবাহের ঘটনা তিরিশ বছর আগে ছিল ৩৩ লক্ষের ঘরে। বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৬-১৭ লাখে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং ছত্তিশগড়ের পরিস্থিতিও বাংলার চেয়ে ভালো বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত বাংলার চেয়ে ঢের ভালো নীতীশ কুমারের বিহারের পরিস্থিতি।

রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৪১.৪ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগেই। একুশ বছর হওয়ার আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসে ২০.১ শতাংশ ছেলে। ২০১৬ সালের বাংলায় বাল্য বিবাহের হার ছিল ৪০.৮ শতাংশ। তার পরে তা পেরিয়েছে একচল্লিশের কোঠা। গোটা দেশে যেখানে বাল্য বিবাহের হার গড়ে ২৩.৩ শতাংশ, সেখানে বাংলায় ৪২ শতাংশ নাবালিকার বিয়ে হয়ে যায় ১৮য় পা দেওয়ার আগেই। বাংলার নীচে রয়েছে বিহার। সেখানে এই হার ৩৮.৭। রাজস্থানে ২১.৩ শতাংশ। ঝাড়খণ্ড ও অসমে এই হার যথাক্রমে ৩১.৫ ও ৩১.৯। জনজাতি অধ্যুষিত ত্রিপুরায় বাল্যবিবাহের হার ৪০.২ শতাংশ। রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, বাংলা, পাঞ্জাব, ত্রিপুরা এবং মণিপুরে ক্রমেই বাড়ছে বাল্যবিবাহ।

আরও পড়ুুন: মমতার রাজত্বে এ কী হাল! গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার পথে সাধুদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ল্যানসেটের রিপোর্টে অতিমারি-উত্তর কাণ্ডের ছবি নেই। এই সময় বাল্য বিবাহ আরও বেড়েছে। তবে ২০০৬ সাল থেকে পরের দশ বছর, এই সময় সীমায় বাল্যবিবাহের হার কমেছিল। ২০১৬ সালের পর ফের তা বেড়েছে। এবং ভারতের অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় তা বেশ বেড়েছে বাংলায় (Child Marriage)।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles