মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে ইডির প্রশ্নবাণের মুখে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। সোমবার পাটনায় ইডির দফতরে হাজিরা দেন লালু। তার পরেই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব। প্রাক্তন রেলমন্ত্রী ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন রাতে। বাইরে তখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাপান্ত করছেন আরজেডির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।
জমির বিনিময়ে চাকরি
প্রথম ইউপিএ সরকারে রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু। সেই সময় বিহারের বহু যুবককে নিয়োগ করা হয়েছিল রেলের গ্রুপ ডি পদে। অভিযোগ, টাকা কিংবা জমির বিনিময়ে এঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল। ঘটনায় নাম জড়ায় লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী ও তাঁর দুই মেয়ে মিসা ও হেমার বিরুদ্ধে। পরে (Lalu Prasad Yadav) নাম জড়ায় বিহারের সদ্য প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীরও। ইডির অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার সময় যে জমি দিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা, তা দেওয়া হয়েছিল লালুর পরিবারের সদস্য ও একে ইনফোসিস্টেমস নামে এক সংস্থার নামে।
কেলেঙ্কারিতে লালুর পরিবার
এই সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে লালুর পরিবারের সদস্যদের। কেলেঙ্কারির মূলে পৌঁছতে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তল্লাশি চালায় দিল্লি, পাটনা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়। আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। এই মামলায় লালু ও তাঁর পরিবারের কয়েকজনের নামে সিবিআইয়ের পাশাপাশি চার্জশিট দিয়েছে ইডিও।
আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, “এটা ইডির তলব নয়, বিজেপির তলব। এটা ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলবে। ততদিন পর্যন্ত একে ইডির তলব বলবেন না।” লালুর মেয়ে মিশা ভারতী বলেন, “তিনি (লালু) নিজে খেতে পারেন না। তাঁকে কাউকে খাইয়ে দিতে হয়। আমরা জানি না তিনি খেয়েছেন কিনা। সরকার আমার বাবাকে গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু একজন অসুস্থ মানুষকে গ্রেফতার করে তারা কী পাবে?”
রবিবারই রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে বিহারে। মহাগটবন্ধনের সরকার ছেড়ে নীতীশ কুমার ফের ফিরেছেন বিজেপিতে। তার পরেই লালুকে ইডির তলবে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা বাড়বে বই কমবে না (Lalu Prasad Yadav)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours