মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর আট প্রাক্তন কর্মীকে। দীর্ঘ ১৮ মাস কাতারের (Qatar) জেলে বন্দি ছিলেন তাঁরা। শেষমেশ মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার কাকভোরে পা রেখেছেন ভারতভূমে। দেশে ফিরে তাঁরা যেমন ভারত মাতা কী জয় স্লোগান দিচ্ছেন, তেমনি উদাত্ত কণ্ঠে গাইছেন মোদি প্রশস্তিও।
চরবৃত্তির অভিযোগ
নৌবাহিনীর এই প্রাক্তন সদস্যরা কাজ করছিলেন আল ধারা নামের এক বেসরকারি সংস্থায়। চরবৃত্তির অভিযোগে ২০২২ সালের অগাস্টে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। ২০২২ সালের অক্টোবরে বন্দি করা হয় কাতারের কারাগারে। গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ আনা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কাতারের (Qatar) আইনে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। ওই বছরেরই মে মাসে আল ধারা গ্লোবাল দোহায় তাদের অপারেশন বন্ধ করে দেয়। এই অপারেশনে যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন, যাঁদের সিংহভাগই ভারতীয়, তাঁরা দেশে ফেরেন।
মৃত্যুদণ্ড
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ধৃত আট ভারতীয়কে মৃত্যুদণ্ড দেয় কাতারের আদালত। সে দেশের এই রায়কে দুঃখজনক বলে অভিহিত করে ভারত সরকার। এই রায়ের বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত বৈধ অপশনগুলি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ৯ নভেম্বর মাসে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে ভারত। সেই আপিল গ্রহণও করে কাতারের উচ্চ আদালত। ১৬ নভেম্বর ভারত সরকার আপিলের কথা জানায়। সরকারের তরফে এও জানানো হয় সদর্থক কিছু ঘটতে চলেছে।
বিদেশমন্ত্রকের তৎকালীন মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “কাতার সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত ৮ ভারতীয়কে মুক্ত করতে যা যা করা প্রয়োজন, সরকার তা করবে।” ২৩ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল গ্রহণ করে কাতার আদালত। ডিসেম্বরের ৭ তারিখে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত কাতারে বন্দি আট ভারতীয়র সঙ্গে দেখা করেন। অরিন্দম বাগচী বলেন, “মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে যে আপিল করা হয়েছিল, তার দুটো শুনানি হয়ে গিয়েছে।”
আরও পড়ুুন: রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৪ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির, জায়গা পেলেন কারা?
২৭ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড রদ করা হয় বলে জানায় কাতারের আদালত। বিষয়টিকে ভারতীয় কূটনীতির বিরাট সাফল্য বলে মনে করে বিদেশমন্ত্রক। তার আগে অবশ্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি কাতার আদালত জানায় মৃত্যুদণ্ড রদের কথা। ১২ ফেব্রুয়ারি মেলে কাঙ্খিত মুক্তি। এদিন ভোরেই দিল্লি এসে পৌঁছান সাত ভারতীয়। দেশে তাঁদের স্বাগত জানানো হয় সরকারের তরফে (Qatar)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours