মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসহায় দরিদ্র বৃদ্ধকে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আবাস যোজনার তালিকায় নাম তুলে দেওয়ার জন্য বৃদ্ধার একমাত্র সম্বল জমানো ৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় আরও ২০ হাজার টাকার দাবি করে ওই তৃণমূল নেতা। টাকা না দিতে পারায় হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় বলে অভিযোগে সরব হয়েছেন বৃদ্ধা। ইতিমধ্যে জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। মূল অভিযোগ, এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূল নেতা জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটনা ঘটেছে মালদার (Malda) কালিয়াচক ব্লকের সাহাবানচক গ্রামের ভাগজান এলাকায়।
বৃদ্ধার অভিযোগ (Malda)?
ভাগজান (Malda) এলাকার সত্তর ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধা রানি বেওয়া বলেন, “আবাস যোজনার পূর্ণ চূড়ান্ত তালিকায় আমার নাম ছিল কিন্তু আমি ঘরের টাকা পাইনি। আমার নামের টাকা অন্য জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠনো হয়েছে। এই কাজের জন্য তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা প্রধান আমার কাছ থেকে কাটমানি চেয়েছিলেন। সেই কাটমানির কিছুটা অংশ টাকা তাঁকে দিয়েও ছিলাম। আমার নিজের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, স্বামী বহুদিন আগে মারা গিয়েছেন, চিন্তায় চিন্তায় আমার সংসার চলে। আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চাইলে কীভাবে দেবো? আমি দিতে না পারায় আমার বাড়ির টাকা অন্য জনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
তৃণমূল নেতার বক্তব্য
এই ঘটনায় স্থানীয় (Malda) তৃণমূল নেতা জিয়াউল হক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “কারো কাছে আমি কাটমানি দাবি করিনি। রানি বেওয়া নামে মালতিপুর মৌজায় কারো নামে ঘর তালিকায় ছিলনা। গোপালপুরে বনি বেওয়া নামক একজনের নাম ছিল। ঘটনা চক্রে স্বামীর নাম এক হওয়ায় গোলমাল হয়েছিল। আমি তৃণমূল করি বলে আমার উপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে।” ইতিমধ্যে ঘটনার কথা জানিয়ে মালদা জেলা শাসক এবং বিডিওর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours