মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গার্ডেনরিচের বেআইনি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ায় মারা গিয়েছেন ৫ জন। আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মনে করা হচ্ছে নিচে এখনও চাপা পড়ে আছেন ৭ জন। মোট ২৩ জন ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে পড়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। প্রতিদিনকার মতো সোমবারও নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতর্ভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বেআইনি বিল্ডিং ডেভেলপমেন্ট খুব হচ্ছে। আর কাউন্সিলর, এমএলএ ,এমপিরা খুব টাকা খাচ্ছে।’’
যে কিনছে তার পুরো জীবনটাও কাটাতে পারবে না, মাঝখানে ভেঙে পড়বে
তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘লোকাল নেতারাও টাকা খাচ্ছে। এখানে ব্রিজ ভেঙে পড়ে, নির্মীয়মাণ ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ে এখন বিল্ডিং ভেঙে পড়ছে। এই যে দুর্নীতি হচ্ছে, যেখানে অর্ধেক টাকা দিয়ে দিতে হচ্ছে লোকাল নেতা ও কাউন্সিলরদের। ফলে কোনও মতে ইট-বালি দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে বাড়ি। যে কিনছে তার পুরো জীবনটাও কাটাতে পারবে না, মাঝখানে ভেঙে পড়বে।’’ রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির (Dilip Ghosh) আরও মন্তব্য, ‘‘এই যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এর পিছনে রয়েছে ব্যাপক দুর্নীতি। সেই জন্য সরকারকে সতর্ক হতে হবে। এগুলো তদন্ত হওয়া দরকার আছে। নতুন নতুন ফ্ল্যাট-বিল্ডিং যেগুলো তৈরি হচ্ছে, বেশিরভাগ অবস্থা এরকম আছে।’’
আতঙ্কিত স্থানীয়রা
রবিবার রাত ১২টা নাগাদ নির্মীয়মান বহুতলের একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১৫ জন। তার মধ্যে ৬ জন ভর্তি রয়েছে আইসিইউতে। তাদের মধ্যে ২ জন নাবালকও রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জলাভূমি ভরাট করে একের পর এক নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে। ৩ ফুট সংকীর্ণ রাস্তাতেও গড়ে উঠছে বহুতল নির্মাণ। এই ঘটনায় কলকাতার পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। দুর্ঘটনার পরে অভিঘাত এসে পড়ে পাশের বাড়িগুলির উপরেও। পাশাপাশি বাড়িগুলোরও ছাদের একাংশ ভেঙে যায়। দেওয়ালে ফাটলও ধরেছে। এর ফলে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours