Ekbalpur_Mominpur: মহিলাদের হাত ধরে টানার অভিযোগ! যন্ত্রণার কথা তুলে ধরলেন মোমিনপুরের বাসিন্দারা

১২ অক্টোবর পর্যন্ত এলাকায় জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। কেউ এলাকার শান্তি ভঙ্গ করলে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
Kolkata-Ekbalpur
Kolkata-Ekbalpur

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  থমথমে একবালপুর-মোমিনপুর অঞ্চল (Mominpore)। আতঙ্কে নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছেন বহু মানুষ। এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। এরই মধ্যে নিজেদের যন্ত্রণার কথা তুলে ধরলেন ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা। ভয়ে এখনও কথা জড়িয়ে যাচ্ছে তাঁদের। কেউ বা লন্ডভন্ড দোকানে বসে যেটুকু রক্ষা পেয়েছে তা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। কেউ ভাবছেন ভাঙা বাইক, পানের দোকানটা কীভাবে মেরামত করবেন। আতঙ্কে বাড়ির এক কোণে পরিবারের সঙ্গে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা। বাড়িতে ঢুকে ঢুকে মহিলাদের হাত ধরে টানার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, জানলা দিয়ে ঘরের মধ্যে বোমা ছোড়া হয়েছে, পুড়ে গিয়েছে সমস্ত জিনিস। দমকল থেকে পুলিশ কেউ ঘটনাস্থলে আসেনি। ঘটনার ৪ ঘণ্টা পরে ইকবালপুর থানার পুলিশ ঘটলাস্থলে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন আক্রান্তেরা।

উল্লেখ্য, শনিবার রাত থেকে দফায় দফায় গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে একবালপুর-মোমিনপুর অঞ্চল। ময়ূরভঞ্জ রোডে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে বোতল ছোড়াছুড়ি-ইটবৃষ্টি হয়। অভিযোগ করা হয় বোমাবাজিরও। শনিবার রাতের পর, রবিবার সন্ধ্যায় আবার উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। এরপরই, একবালপুর থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের দুই ডিসি-সহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় দু’পক্ষের ৩৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী (Police Force)। নামানো হয়েছে র‍্যাফ  (RAF)।

আরও পড়ুন: হাত রয়েছে আল কায়দা ও আইসিসের! মোমিনপুরের ঘটনায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

সেই ঘটনার পর একবালপুর থানা এলাকায় পাঁচ বা তার বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। সোমবার থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এলাকায় জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। কেউ এলাকার শান্তি ভঙ্গ করলে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সোমবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukant Majumder) ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হলে পুলিশ তাঁকে আটক করে। পরে সন্ধ্যায় তাঁকে লালবাজার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মোমিনপুরকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেছেন সুকান্ত। তাঁর কথায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে খুব একটা দূরে নয় এই অঞ্চল। এখানেই মানুষের নিরাপত্তা নেই। জনজীবন ব্যাহত। স্তব্ধ দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। তাহলে রাজ্যের অন্যত্র কী পরিস্থিতি?

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles