Muslim Marriage: প্রথম স্ত্রী-সন্তানের দায়িত্ব না নিতে পারলে দ্বিতীয় বিয়ে কেন? প্রশ্ন তুলল এলাহাবাদ হাইকোর্ট

একজন মুসলিম পুরুষ যদি তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের লালন-পালন করতে সক্ষম না হন, তাহলে পবিত্র কোরানের উপরোক্ত আদেশ অনুসারে সে অন্য কোনও নারীকে বিয়েও করতে পারবেন না। 
Allahabad-Highcourt-1-1
Allahabad-Highcourt-1-1

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও মুসলিম পুরুষ মনে করলেই দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারেন না। কারণ কোরানে বলা হয়েছে যে কোনও ব্যক্তি যদি স্ত্রী-সন্তানদের লালনপালন না করেন তাহলে সে দ্বিতীয়বার বিয়ের জন্য যোগ্য নন। সম্প্রতি একটি মামলার শুনানিতে এই মত জানায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। আদালতের তরফে বলা হয়, কোরানে ৪ নম্বর সুরার ৩ নম্বর আয়াতের ধর্মীয় আদেশ অনুসারে বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে মুসলিম পুরুষদের ন্যায়সঙ্গত আচরণই করতে হবে। একজন মুসলিম পুরুষ যদি তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের লালন-পালন করতে সক্ষম না হন, তাহলে পবিত্র কোরানের উপরোক্ত আদেশ অনুসারে সে অন্য কোনও নারীকে বিয়েও করতে পারবেন না। 

আরও পড়ুন: বাক-স্বাধীনতা মানে প্রধানমন্ত্রীকে কু-মন্তব্য করা নয়, স্পষ্ট এলাহাবাদ হাইকোর্ট

সম্প্রতি এক মুসলিম ব্যক্তি তাঁর প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। প্রথমে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকলেও পরে এক বাড়িতেই দুই স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু ওই ব্যক্তির আর্থিক অনটন দেখা দেওয়ায় তিনি প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং তাঁর সন্তানদের ঠিকমতো দেখাশোনা করছেন না বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ওই ব্যক্তির প্রথম স্ত্রী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের দাবি জানান। একই সঙ্গে তাঁর সন্তানদের ভরণপোষণের ভার স্বামীকে নিতে হবে বলে দাবি করেন।  এই দাবির বিরোধিতা করে প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে পারিবারিক আদালতে মামলা করেন স্বামী। মামলায় বলেন, খোরপোষ দেওয়ার মতো আর্থিক সঙ্গতি তাঁর নেই। পারিবারিক আদালত তাঁর এই আবেদন মঞ্জুর করেনি। তারাও প্রশ্ন তোলে, আর্থিক সঙ্গতি না থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিয়ে তিনি করলেন কেন?

আরও পড়ুন: তাজমহলের রুদ্ধ ২২ দ্বার খোলা হবে না, জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট

পারিবারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। হাইকোর্টও ওই ব্যক্তির আর্জি খারিজ করে দিয়ে কোরানের উদ্ধৃতি থেকে রায় দেন। এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, মামলাকারী ওই মুসলিম ব্যক্তি প্রথম স্ত্রীর কাছে সত্য গোপন করে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন। যা মিথ্যের সমান। পাশাপাশি এই ধরণের আচরণ তাঁর প্রথম স্ত্রীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণেরও সমতুল্য। আদালত এ প্রসঙ্গে জানায়,যদি এই ঘটনার ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রী তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকতে না চান তাহলে তাঁকে বাধ্য করা যাবে না। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 
                                                             

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles