Bullet Train: বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জাতীয় গুরুত্ব রয়েছে, বলল বম্বে হাইকোর্ট      

বুলেট ট্রেন প্রকল্পের ২১ কিলোমিটার রেলপথ হবে ভূগর্ভস্থ
bombay_high_cout
bombay_high_cout

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্পের জাতীয় গুরুত্ব রয়েছে বলে জানাল বম্বে হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, গোদরেজ অ্যান্ড বয়েস ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল, সংস্থার অভিযোগ ছিল যে বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্পের জন্য ভিক্রোলিতে তাদের জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যায় সংস্থা।

কী বলল বম্বে হাইকোর্ট?

গোদরেজ অ্যান্ড বয়েস ম্যানুফ্যাকচারিং সংস্থার এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বম্বে হাইকোর্ট বলে “জাতীয় ক্ষেত্রে বিচার করলে এই বুলেট ট্রেনের (Bullet Train) অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। জনস্বার্থের কথা ভাবনাচিন্তা করেই সরকার এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছে, আদালতের কোনও হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। ক্ষতিপূরণে কোনও বেনিয়ম পাওয়া যায়নি।” এদিন বিচারপতি আরডি ধানুকা এবং বিচারপতি এমএম এর ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানায়, বুলেট ট্রেন জাতীয় স্বার্থেই চলছে।

আরও পড়ুন: জাপানের সঙ্গে যৌথ অনুশীলনে ভারতীয় বায়ু সেনা, দেখুন 'বীর গার্ডিয়ান ২০২৩'-এর কিছু ছবি
 

বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্পের ২১ কিলোমিটার রেলপথ হবে ভূগর্ভস্থ

মহারাষ্ট্রের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্স এবং শিলফাটার মধ্যবর্তী ভূগর্ভস্থ রেলপথ নির্মানের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। মহারাষ্ট্রের থানে জেলার এই বিকেসি প্লাটফর্ম হবে একমাত্র ভূগর্ভস্থ স্টেশন। জানা গিয়েছে, মাটির ২৪ মিটার নীচে হবে প্লাটফর্ম এবং এটি তিনতলা বিশিষ্ট হবে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বই-আহমেদাবাদ হাই-স্পিড রেল প্রকল্পে মোট ৫০৮.১৭ কিলোমিটার রেল ট্র্যাক থাকবে, যার মধ্যে ২১ কিলোমিটার হবে ভূগর্ভস্থ। জানা যাচ্ছে এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হতে সময় লাগতে পারে প্রায় ৬০ মাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হল এইধরনের ভূগর্ভস্থ রেলপথ নির্মাণ।   প্রসঙ্গত, বুলেট ট্রেন প্রকল্পটি জাপানের প্রযুক্তিগত সাহায্যে গড়ে উঠছে। দাদরা ও নগর হাভেলির মধ্যে দিয়েও যাবে এই প্রকল্প।

৭ কিমি টানেল থাকবে সমুদ্রের তলদেশে, ভারতে এ ধরনের প্রকল্প প্রথম

জানা গিয়েছে, টানেল বোরিং মেশিন এবং নিউ অস্ট্রিয়ান টানেলিং মেথড ব্যবহার করে সমুদ্রের তলদেশে এই টানেল তৈরি করা হচ্ছে। ডাবল লাইনের এই ধরনের টানেল দেশে এর আগে নির্মাণ হয়নি। আরও জানা যাচ্ছে, টানেলটি সবথেকে গভীর হবে মহারাষ্ট্রের শিলফাটার কাছে পারসিক পাহাড়ের নীচে, প্রায় ১১৪ মিটার। পরিবেশের কোনও ক্ষতি করতে চায়নি রেল মন্ত্রক। তাই থানে ক্রিকের কাছে অভয়ারণ্য এবং ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদগুলিকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যেই সমুদ্রতলদেশে ৭কিমি এই টানেলটি তৈরি করা হচ্ছে।


প্রসঙ্গত, বুলেট ট্রেন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত থাকবে মহারাষ্ট্রের চারটি স্টেশন এগুলি হল বিকেসি, থানে, বিরার এবং বোইসার। গুজরাটের আটটি স্টেশন এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এগুলো হল ভাপি, বিলিমোরা, সুরাট, ভরুচ, ভাদোদরা, আনন্দ/নদিয়াদ, আহমেদাবাদ এবং সবরমতি। মুম্বাই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হবে ৩২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা এবং এতে মোট সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা। 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং জাপানের শিনজো আবে ২০১৭ সালে আহমেদাবাদ এবং মুম্বইয়ের মধ্যে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। 

আরও পড়ুন:‘ট্রিপল ট্রাবল থেকে উদ্ধার পেতে চাইলে বিজেপিকে ভোট দিন’, ত্রিপুরায় জানালেন শাহ

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles