মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে থমকে গেল কেন্দ্রীয় সংস্থার (GAIL) গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর কাজ। হলদিয়া থেকে পানাগড় শিল্পতালুক পর্যন্ত পাইপলাইনের মাধ্যমে বেসরকারি কারখানাগুলির জ্বালানির জন্য গ্যাস সরবরাহ করার পরিকল্পনা নিয়েছে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা। কিন্তু জমি নিয়ে সেই আন্দোলনের জেরে আপাতত প্রকল্পটি অথই জলে পড়ে গেল। গেইল বা গ্যাস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড হল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তারা মাটির নিচ দিয়ে হলদিয়া থেকে পানাগড় শিল্পতালুক পর্যন্ত গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু করেছে।
কীভাবে বন্ধ হয়ে গেল কাজ?
বৃহস্পতিবার সকালে সংস্থার কর্মীরা যন্ত্রপাতি এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি নিয়ে বুদবুদের খান্ডারি গ্রামে মাটির তলা দিয়ে পাইপলাইন (GAIL) বসানোর কাজ শুরু করতেই প্ল্যাকার্ড এবং পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ ও জমির মালিকরা। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর দুপুর নাগাদ হঠাৎই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রথমে বচসা ও পরে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় সংস্থার কর্মীদের। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বুদবুদ থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসীর বিক্ষোভের জেরে বন্ধ রাখা হয় কাজ।
কী দাবি এলাকার বাসিন্দাদের?
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, প্রতি শতকে তাঁদের ৮০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কিন্তু দেওয়া হচ্ছে ২৪ হাজার টাকা। সেই ক্ষতিপূরণ না দিলে তাঁরা কোনওভাবেই কাজ শুরু করতে দেবেন না। যদিও এদিন ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি (GAIL) প্রশাসনিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়। তারপরই বিক্ষোভ উঠিয়ে নেন গ্রামবাসীরা।
কী বলছে বিজেপি নেতৃত্ব?
পূর্ব বর্ধমান জেলার বিজেপি নেতা রমন শর্মা বলেন, এটা (GAIL) স্থানীয় প্রশাসনের বিষয়। স্থানীয় প্রশাসনেরই তো হিয়ারিং করার কথা। জানিনা আদৌ হিয়ারিং হয়েছে কিনা। তৃণমূলের নেতারা হয়তো মাঝখানে এসে নিজেদের পকেটে টাকা ঢুকিয়ে নিয়েছে। এটা তদন্তের বিষয়। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রেই পাইপলাইনের কাজ চলছে। পাইপ লাইনের কাজ তো হবেই। কিন্তু যাদের জমির উপর দিয়ে কাজটা হবে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করাটা তো স্থানীয় প্রশাসনেরই দায়িত্ব।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours