Train Accident: বোনের বিয়েতে আর আসা হল না মালদার কৃষ্ণের, বাড়ি পৌঁছাল নিথর দেহ

Malda: ভাইয়ের জামা, প্যান্ট, বেল্ট এবং পকেটে থাকা আধার কার্ড দেখে মুণ্ডহীন দেহ শনাক্ত করলেন দাদা
Train_Accident_(4)
Train_Accident_(4)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোনের বিয়েতে যোগ দিতে চেন্নাই থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পিপুলতলা গ্রামের কৃষ্ণ রবিদাস। বয়স ২৩ বছর। প্রায় পাঁচ মাস পর তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। বিয়েতে কত আনন্দ করবেন, তা নিয়ে ফোনে বোনের সঙ্গে অনেক পরিকল্পনাও করেছিলেন। যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে ফেরার কথা পরিবারের লোকজনকে ফোন করে তিনি জানিয়েছিলেন। ট্রেনে ওঠার পর শেষ ফোন করেছিলেন মাকে। তারপরই ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Train Accident)। সেই সময় থেকেই নিখোঁজ তিনি। সোমবারই পরিবারের লোকজন ভুবনেশ্বর মর্গে তাঁর মুণ্ডহীন দেহ শনাক্ত করেন।

কীভাবে শনাক্ত করা হল তাঁকে?

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণ রবিদাসরা চার ভাই, দুই বোন। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা হেমন্ত রবিদাস ও মা যশোদা রবিদাস। ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই ঘন ঘন জ্ঞান হারাচ্ছেন মা যশোদাদেবী। কান্নায় ভেঙে পড়ছেন পরিজনরা। যশোদাদেবী বলেন, "ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) পর তিন দিন ধরে ছেলের কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। সরকারি হেল্পলাইনে ফোন করেও কোনও খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে সোমবার সরকারি সূত্রে খবর পেয়ে আমার বড় ছেলে অশোক ওড়িশার ভুবনেশ্বর হাসপাতালের মর্গে ছেলের মুণ্ডহীন দেহ শনাক্ত করে। জামা, প্যান্ট, বেল্ট এবং পকেটে থাকা আধার কার্ড দেখে ভাইকে চিনতে পারে সে।"

কী বললেন মৃত যুবকের বাবা?

মৃত যুবকের বাবা হেমন্ত রবিদাস বলেন, "আগামী ১২ জুন আমার ছোট মেয়ের বিয়ে রয়েছে। বোনের বিয়েতে অংশগ্রহণ করতেই ছেলে বাড়ি ফিরছিল। এই ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) আমার ছেলের প্রাণ কেড়ে নিল। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্সে ছেলের দেহ গ্রামের বাড়িতে আসে।" গ্রামের ছেলের মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় পৌঁছাতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়ে। খবর পেয়ে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তজমুল হোসেন কৃষ্ণের বাড়িতে গিয়ে সব রকম সরকারি সাহায্যের আশ্বাস দেন।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles