মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ ছিল মোদি-যোগীর কাজের প্রশংসা। তার মূল্য যে এভাবে চোকাতে হবে তা ভাবেননি উত্তরপ্রদেশের রাজেশধর দুবে (৫৯)। তাঁকে পিষে দিল বোলেরো চালক আমজাদ। নিজের বন্ধুর সঙ্গে একটি ভাড়া গাড়িতে উঠেছিলেন উত্তরপ্রদেশের (UP News) মির্জাপুরের বাসিন্দা রাজেশ। গাড়ির মধ্যে মোদিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করাই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাঁর জীবনে। মুসলিম গাড়িচালক নৃশংসভাবে হত্যা করেন রাজেশধরকে। ঘটনার ছ'ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত চালককে গ্রেফতার করেছে যোগী পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, মির্জাপুরের (UP News) বিন্ধ্যাচল থানা এলাকার কোলহানি গ্রামে রবিবার সন্ধ্যায় নিজের ভাগ্নের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রাজেশধর দুবে। বিয়ের অনুষ্ঠান পর্ব সম্পন্ন হলে সোমবার সকালে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে রাজেশধর তাঁর দুই আত্মীয় লালজি মিশ্র এবং ধীরেন্দ্র কুমার পাণ্ডের সঙ্গে বাড়ি ফেরার জন্য একটি ভাড়া গাড়িতে ওঠেন। বোলেরো গাড়িটিতে ওঠার পর থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক আলোচনা। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের আমজাদ। গাড়িতে হাজির থাকা রাজেশের ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, রাজনৈতিক আলোচনা ধীরে ধীরে তর্কবিতর্কে গড়ায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রসঙ্গ উঠতেই বাদানুবাদ উত্তপ্ত হতে থাকে। একটা সময় রাজেশধর দুবে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শুরু করেন মোদি-যোগীর। আর এতেই বেজায় চটে যান আমজাদ। এরপর বাকি আত্মীয়দের বাড়ির কাছে নামিয়ে দিলেও রাজেশকে তাঁর ঠিকানা থেকে বেশ কিছুটা দূরে নামায় আমজাদ। রাজেশ বাড়ির উদ্দেশে হাঁটতে শুরু করলে তাঁকে ধাক্কা মারে আমজাদ। প্রায় ২০ মিটার পর্যন্ত রাজেশধরকে পিষে দিয়েই এগিয়ে যায় আমজাদের বোলেরো। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় সে।
কীভাবে গ্রেফতার করা হল আমজাদকে?
ঘটনায় আত্মীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে যোগী রাজ্যের পুলিশ। ছ'ঘণ্টার মধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ এবং আত্মীয়দের দেওয়া চালকের মুখের বর্ণনা থেকে তাঁকে পাকড়াও করতে সক্ষম হয় তদন্তকারী অফিসাররা। ইতিমধ্যেই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে আমজাদকে।
আরও পড়ুন: ৭ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের!
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours