মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার দিন থেকেই অশান্ত বাংলা। রাজ্য প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে সরব বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশ্নে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়েছে সরকারের। পঞ্চায়েত ভোট যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় সে লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ২২ কোম্পানির কমান্ডিং অফিসারদের ফোন নম্বর প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ‘‘কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত।’’ শুভেন্দু আরও জানান, সাধারণ ভোটাররাও ফোন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অশান্তির খবর দিতে পারবেন।
কী বললেন শুভেন্দু?
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে মুখ পুড়িয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের রায় মানেনি কমিশন। সুপ্রিম কোর্ট বাহিনী দিয়ে ভোট করানোতেই আস্থা রেখেছে।’’
বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, ‘‘আদালতের নির্দেশে বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। বাহিনী থাকাকালীন কোনও অঞ্চলে হিংসা ছড়ালে বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নাম জড়াবে। সেটা যাতে না হয় সে কারণেই বাহিনীর বিস্তারিত তথ্য প্রার্থীদের কাছে থাকবে। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষও তা জানতে পেরে যাবেন।’’
রাজ্য পুলিশকে এদিন একহাত নিতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা। কয়েকজন পুলিশ কর্তার সরাসরি নাম করে তিনি বলেন, ‘‘এবার আর মনোজ মালব্য, বিনীত গোয়েল, সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, কোটেশ্বর রাওয়ের মতো পুলিশের কর্তারা তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে পারবে না। ভাইপোর কথায় চলবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী।’’
নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ‘‘কোথাও কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে পুলিশের সঙ্গে বাহিনীর কমান্ডিং অফিসারকেও বিষয়টি জানাতে পারবেন সাধারণ ভোটাররাও। বাহিনীর সিও-কে ফোন করে খবর দেওয়া যাবে। তিনি তার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেবেন।’’
শুভেন্দুর করা মামলাতেই মিলল কেন্দ্রীয় বাহিনী
প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে হয়, সেই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। দাবি জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার। হাইকোর্ট এই দাবি মেনে নেয়। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেই ভরসা রাখার কথা বলে। এরপরে মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পরে হাইকোর্টে আবারও ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কমিশন। অবশেষে আদালতের চাপে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: নদিয়া সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফকে লক্ষ্য করে বোমা, গুলিবিদ্ধ পাচারকারীরা
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours