Barrackpore: এক ঘরে ভাইয়ের কঙ্কাল, পাশের ঘর থেকে উদ্ধার দাদার পচাগলা দেহ

Barrackpore: একটি মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে তাঁর ভাইয়ের কঙ্কালের হদিশ পেল পুলিশ
Barrackpore_(3)
Barrackpore_(3)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের কথা মনে আছে? বাড়ির মধ্যে নিজের মায়ের মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন পার্থ দে নামে এক ব্যক্তি। সেই রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া দেখা গেল এবার বারাকপুর (Barrackpore) মহকুমার পূর্ব বেলঘরিয়া সেকেন্ড লেনের একটি বাড়িতে। তবে, বেলঘরিয়ার এই ঘটনাটি কিছুটা আলাদা। এখানে প্রায় ৬ মাস ধরে ভাইয়ের মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন দাদা। আর বাড়ির মধ্যেই দাদারও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সেই মৃতদেহ উদ্ধার হতেই বিষয়টি জানাজানি হয়।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বীরেন্দ্রকুমার দে (৬৬) নামে অবসরপ্রাপ্ত বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়দের থেকে পুলিশ খবর পেয়ে ওই দেহ উদ্ধার করতে এসে পাশের ঘর থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে। যেটি তাঁর ভাই ধীরেন্দ্রকুমার দে'র (৬৩) বলে মনে করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। দুজনেরই মানসিক সমস্যা ছিল। কয়েকদিন ধরে ওই বাড়িতে কারও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। এদিন বারাকপুর (Barrackpore) কমিশনারেটের পুলিশ পৌঁছে একটি দেহ এবং একটি কঙ্কাল উদ্ধার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, সম্ভবত পাঁচ-ছয় মাস আগে ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। সেই দেহ আগলেই দাদা এতদিন বসেছিলেন। দিন কয়েক আগে তাঁরও মৃত্যু হয়।

কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দা?

স্থানীয় ক্লাবের সম্পাদক দীপজয় দাস বলেন, আসলে ওই বাড়ির পাশের এক বাসিন্দা আমাদের জানান, গত কয়েকদিন ধরেই বাড়ির কাউকে দেখা যাচ্ছে না। আমরা জানতে পেরে ওই বাড়িতে যাই। আদতে তিনতলা বাড়ি। দোতলা পর্যন্ত সমস্ত ঘর আমরা খুঁজেছি, কিছু পাইনি। তিনতলায় উঠতেই দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসে। দুজন ওপরে গিয়ে দেখেন, ঘরের মধ্যেই একজনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। পরে, পুলিশ এসে সমস্ত বিষয়টি জানাজানি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরেন্দ্রবাবুরা চারভাই ও এক বোন। চার ভাইয়ের প্রত্যেকের মানসিক সমস্যা রয়েছে। দুই ভাই আগেই মারা গিয়েছেন। এক বোন রয়েছেন। তাঁর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে বারাকপুর (Barrackpore) কমিশনারেটের পুলিশ যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles