মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিনে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। শাসক-বিরোধী মিলে ভোটের দিনই ৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। মনোনয়ন থেকে ভোট প্রদানের দিন পর্যন্ত সালার, ডোমকল, ভারতপুর, বেলডাঙা, কান্দি, নবগ্রামে শাসক দল বনাম নির্দল, তৃণমূল বনাম তৃণমূল, তৃণমূল বনাম কংগ্রেসের মধ্যে ব্যাপক রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়। জেলা জুড়ে ভোটের আগে থেকেই দেশি বোমা, সকেট বোমা উদ্ধারে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে গিয়েছিল। তাই ভোটদানের পরেও এই জেলা ভীষণ ভাবে উত্তপ্ত। ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত সালার। চুনশহর গ্রামে নির্দল সমর্থকের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সামশেরগঞ্জের হিরানন্দপুর ভাঙা লাইনে বোমাবাজি, নির্দল ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ।
সালারে (Murshidabad) ব্যাপক বোমাবাজি
সালারের চুনশহর গ্রামে নির্দল সমর্থক অনুগামীদের বাড়ি ভাঙচুর এবং নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ শুধু নয়, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে। সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত নেমেছে সালার থানার পুলিশ। আক্রান্ত নির্দল সমর্থক নাজিয়া বিবি বেলন, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করে, তারাই আমাদের বাড়িতে বোমাবাজি করেছে। আমার স্বামী বাইরের রাজ্যে কাজ করেন। বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় আমাদের দুষ্কৃতীদের হুমকি, বোমা-বন্দুকের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ যদি তৃণমূলের হয়ে বাড়িতে অত্যাচার চালায়, তাহলে তদন্ত করবে কে?
সামশেরগঞ্জে বোমাবাজি?
ভোটের পরের দিনই নির্দল এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে গন্ডগোলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ (Murshidabad) থানার হিরানন্দপুর ভাঙা লাইন এলাকায়। দুই পক্ষের মধ্যে চলল বোমাবাজি। এলাকায় মুহূর্মুহূ বোমা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। বোমাবাজির পাশাপাশি ইট-পাটকেলও চলে দুই পক্ষের মধ্যে।
সামশেরগঞ্জে বিধায়ক কী বললেন?
সাংবাদিক বৈঠকে সামশেরগঞ্জের (Murshidabad) বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, নমিনেশন পর্ব থেকে ভোট গ্রহণ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে সংগঠিত হয়েছে। সারা বাংলায় গণতন্ত্রের উৎসব পালিত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাত পর্যন্ত ভোট হয়েছে। বিরোধীরা বলেছিল ভোট করতে দেবে না। কিন্তু সামশেগঞ্জেও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়। তিনি আরও বলেন, পঞ্চগ্রাম আইএএস স্কুলে সকাল থেকেই নজু খানের নেতৃত্বে ভোট কর্মীদের সঙ্গে যুক্তি করে প্রায় ২০০ ব্যালট লুট করে ছাপ্পা মারে। ওই কেন্দ্রে বিজেপি-নির্দল এবং দুষ্কৃতীরা ব্যালট বক্স ভাঙচুর করে।
আক্রান্তদের বাড়িতে গেলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী
আবার নওদায় (Murshidabad) গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে একজন কংগ্রেস কর্মী ও সমাজসেবী আনন্দ হালসানার বাড়িতে তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা হামলায় চালিয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে আজ বাড়িতে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours