মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার শালতোড়ার নেতাজি কলেজের ভোট গণনা কেন্দ্রে বিজেপির (BJP) ক্যাম্প অফিসে বিধায়কের সামনেই কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিজেপির লোকজনের গাড়ি এবং মোটর বাইক ভাঙচুর করা হয়। ইট, পাথর ছোড়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনে হামলা চালানো হলেও তারা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ?
নিয়ম মেনেই বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থকরা গণনা কেন্দ্রে ছিলেন। আর গণনা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে বিজেপির পক্ষ থেকে ক্যাম্প অফিস করা হয়। সেখানে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি সহ বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক মজুত ছিলেন। ক্যাম্প অফিসের পাশে রাখা ছিল গাড়ি, একাধিক বাইক। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, আচমকা দল বেঁধে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর চড়াও হয়। আমাদের বেধড়ক পেটায়। আমাদের গাড়ি, বাইকে ভাঙচুর চালায়। ওরা কার্যত এলাকায় তাণ্ডব চালায়।
কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?
শালতোড়ার বিজেপি (BJP) বিধায়ক চন্দনা বাউরি বলেন, বিজেপির লোকজন গণনা কেন্দ্র থেকে ৪০০ মিটার দূরে ক্যাম্পে বসেছিলেন। আচমকা তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডা বাহিনী বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের ওপর চড়াও হয়। পুলিশের সামনেই হামলা চালানো হয়। বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় চন্দনা দেবী হামলার হাত থেকে বাঁচেন।
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
তৃণমূলের শালতোড়ার ব্লক সভাপতি সন্তোষ মণ্ডল বলেন, চন্দনা বাউরির আনা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে বিজেপির (BJP) নিজেদের দলীয় কোন্দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে চাপাতে চাইছে। বরং ওরাই আমাদের কয়েকজনের ওপর হামলা করে। পাথর ছোঁড়ে। তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। নিজেদের কোন্দল ঢাকতে তৃণমূলের উপর ওরা এখন দায় চাপাচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours