মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় ফের ফিরছে চিকুনগুনিয়া (Chikungunya)! স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সতর্কবার্তায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। চার দশক পরে কলকাতায় ফের দেখা দিচ্ছে মশাবাহিত এই রোগ। চিকিৎসক মহল জানাচ্ছে, এই রোগের সময় মতো চিকিৎসা না হলে মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে। একেই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ায় জর্জরিত রাজ্যের মানুষ। তার উপরে বাড়তি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিকুনগুনিয়া। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্তদের আজীবন নানান জটিল রোগে ভুগতে হতে পারে। তাই এই রোগের সংক্রমণ রুখতে হবে।
চিকুনগুনিয়া (Chikungunya) কী?
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, চিকুনগুনিয়া (Chikungunya) মশাবাহিত রোগ। এডিস মশা এই রোগ বহন করে। চিকুনগুনিয়া ভাইরাসকে ওই মশার প্রজাতি বহন করে। তার ফলে মশা কামড়ালে মানুষের শরীরে ওই ভাইরাস প্রবেশ করে।
কী উপসর্গ দেখা দেয় (Chikungunya)?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চিকুনগুনিয়া হলে কয়েকটি উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন বারবার জ্বর হয়। দেহের তাপমাত্রা ১০২ থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়ে যায়। তার সঙ্গে দেহের বিভিন্ন অংশে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। হাত-পায়ের পেশিতে মারাত্মক যন্ত্রণা হয়। হাড়ের যন্ত্রণা এই রোগের আরেক উপসর্গ। এছাড়াও, মাথা ঘোরা, বমির মতো উপসর্গও দেখা দেয়। শিশুদের ক্ষেত্রে পেটের অসুখ হয়। যা চিকুনগুনিয়ার আরেক লক্ষণ। বিশেষত, শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাছাড়া, চিকুনগুনিয়ায় (Chikungunya) আক্রান্ত হলে দেহের যে কোনও অংশ থেকে রক্তপাত হতে পারে। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলেই সতর্ক হতে হবে।
চিকুনগুনিয়া (Chikungunya) কোন ঝুঁকি তৈরি করে?
চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ ক্ষমতা তীব্র। এমনটাই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাই এই রোগ মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে। এই রোগে আক্রান্তদের নানান হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। রোগ থেকে মুক্তির পরেও আর্থারাইটিসের মতো নানান হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। পাশপাশি লিভার ও কিডনির নানান অসুখের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় চিকুনগুনিয়া। তবে এই রোগ সবচেয়ে বিপজ্জনক শিশুদের জন্য। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে শিশুদের প্রাণসংশয় তৈরি হয়। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি।
কী পরামর্শ (Chikungunya) দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল?
বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, এই রোগ মশাবাহিত। তাই বাড়িতে বা বাড়ির আশপাশে যাতে মশা না জন্মায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। চিকুনগুনিয়া বহনকারী মশা পরিষ্কার জায়গার জমা জলে জন্মায়। তাই ফুলের টব কিংবা পরিষ্কার কোনও জায়গায় যাতে জল জমে না থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। রোগের (Chikungunya) উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চিকিৎসা শুরু জরুরি। যাতে রোগ সংক্রমণ না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।
শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হলে বেশি পরিমাণে জল খাওয়াতে হবে। যাতে কোনও ভাবেই ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours