মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: 'ছাত্র মৃত্যুর জন্য দায়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও রাজ্য সরকার। কয়েকদশক ধরে এই কালচার চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে শহুরে নকশালের চিন্তা, যে আদর্শটা রাষ্ট্রদ্রোহিতাকে উস্কে দেয়। সেটা বন্ধ করুক রাজ্য সরকার।' রবিবার দুর্গাপুরে একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ক্রীড়ানুষ্ঠানে এসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ড নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (রাষ্ট্র) সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar on Jadavpur)।
যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? (Subhas Sarkar on Jadavpur)
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রহস্যজনক ছাত্রমৃত্যু নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। বার বারই অভিযোগ উঠেছে বামপন্থী প্রাক্তন পড়ুয়াদের আনাগোনা ও কলেজ হস্টেলের সিনিয়ার পড়ুয়াদের অমানবিক আচরণের দিকে। যদিও, ওই ঘটনার তদন্ত এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর বড় প্রশ্ন, এত বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে সিসিটিভি কেন বসানো হয়নি বা বসাতে দেওয়া হয়নি? অভিযোগে জানা গিয়েছে,যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের সঙ্গে সিনিয়র পড়ুয়াদের নির্মম ব্যবহারের ছবি ধরা পড়ত, তাই হয়তো সিসিটিভি বসাতে দেওয়া হয়নি। সিনিয়ারের উপস্থিতি এবং অনুমতি ছাড়া বাড়িতেও ফোন করতে পারতেন না নতুন পড়ুয়ারা। শৌচালয় থেকে ঘর— সবই পরিষ্কার করতে হত জুনিয়ারদের। রীতিমতো রোস্টার তৈরি করে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের দিয়ে বিভিন্ন কাজ করানো হত। সেই কাজের তালিকায় রয়েছে, শৌচালয় এবং ঘর পরিষ্কার, সিনিয়রদের ভাত বেড়ে দেওয়া, মশারি টাঙিয়ে দেওয়ার মতো কাজ। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রবিবার দুর্গাপুরে এক কেন্দ্রীয় আবাসিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়ানুষ্ঠানের উদ্বোধনে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (রাষ্ট্র) ডাঃ সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar on Jadavpur)। এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডের প্রশ্নে তিনি বলেন, ছাত্র মৃত্যুর জন্য দায়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও রাজ্য সরকার। কয়েকদশক ধরে এই কালচার চলছে। রাজ্য প্রশাসন যদি এটা বন্ধ করতে চাইত, তাহলে এর আগের উপাচার্যের জামানায় হোক কলরব, হোক চুম্বন, মুক্ত মন, মুক্ত চিন্তনের নামে যা কিছু হচ্ছিল, সেটা বন্ধ করত। সিসিটিভি বসত। তিনি বলেন, সঠিক তদন্ত হোক। অপরাধীরা গ্রেফতার হোক।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours