মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে হাঁটাচলা করার আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের পালসা খাসপাড়ার মেনকা কুজুর নামে এক বধূ। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হারানোর ফলে ছোট ছেলে সহ মেনকাদেবীকে ছেড়ে যান স্বামী। ছেলেকে নিয়েই কোনওরকমে দিন কাটছিল ওই মহিলার। শেষ পর্যন্ত প্রায় ১২ বছর পর বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) উদ্যোগে তাঁর শরীরে কৃত্রিম পা লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপরেই তিনি হাঁটাচলা করতে পারছেন। মেনকাদেবীর বাড়িতে যান বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা ওই মহিলার সুবিধা ও অসুবিধার কথা শোনেন।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?
প্রায় ১২ বছর আগে রাস্তার কাজ করতে গিয়ে রোলারে মেনকাদেবীর বাম পা চাপা পড়ে। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করান। তবুও, শেষ রক্ষা হয়নি। শরীর থেকে পা কেটে বাদ দিতে হয়। দুর্ঘটনার পর একমাত্র ছেলে সহ স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যান স্বামী। ছেলেকে নিয়ে কোনওমতে দিন কাটছিল তাঁর। হাঁটাচলার স্বপ্ন প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন মেনকাদেবী। কয়েক মাস আগে গঙ্গারামপুর থানার ফুলবাড়িতে পাড়ায় কর্মসূচি করতে আসেন সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেখানে হাজির হয়ে পালসার গৃহবধূ মেনকা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কাছে চিকিৎসার আর্জি জানান। বাঁ পায়ের অবস্থা দেখে সুকান্তবাবু চিকিৎসা করানোর উদ্যোগ নেন। সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগে প্রায় এক মাস আগে মেনকাকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাকপুর মহকুমার বনহুগলির একটি সরকারি হাসপাতালে। হাসপাতালে রেখে চলে চিকিৎসা। কয়েকদিন আগে সরকারি হাসপাতালের অঙ্গ বিভাগে মেনকার কৃত্রিম পা লাগানো হয়। কৃত্রিম পা লাগানোর পর হাঁটাচলা করতে পারায় তাঁকে ছেড়ে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?
মেনকার বাড়িতে যান বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্য বিজেপি নেতারা। চলাফেরা করতে কোনওরকম অসুবিধা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে বিজেপি নেতা খোঁজখবর নেন। কৃত্রিম পায়ের সাহায্যে প্রায় ১২ বছর পর দুই পায়ে হাঁটতে পারায় খুশি মেনকা কুজুর। বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি বহু সামাজিক কাজ করেন আমাদের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর উদ্যোগেই একজন মহিলা শ্রমিক তাঁর কাটা পা ফেরত পেয়েছেন। আগের মতোই মেনকাদেবী হাঁটাচলা করতে পারায় আমরা খুশি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours