মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি ২০ (G20) শীর্ষ সম্মেলনে আসছেন না চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সে কথা আগেই জানিয়েছে চিন। এবার এ নিয়ে বিতর্ক এড়াতে বিবৃতি দিতে শোনা গেল চিনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্রকে। চিনের দাবি, ভারতের সঙ্গে কিছু বিষয়ে তাদের মতবিরোধ হয়তো রয়েছে, কিন্তু সম্পর্ক স্থিতিশীল। নয়াদিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার ঠিক আগে এমনই বিবৃতি দিলেন চিনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র। প্রসঙ্গত বুধবারের সাংবাদিক সম্মেলনে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় সে দেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মাও নিংকে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘সামগ্রিক ভাবে ভারত-চিন সম্পর্ক স্থিতিশীল। বিভিন্ন স্তরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও যোগাযোগ চলছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং জি ২০ (G20) বৈঠকে যোগ দেবেন।’’
জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া
মঙ্গলবারও চিনা প্রেসিডেন্টের জি ২০ সফরে না আসার প্রসঙ্গ ওঠে হোয়াইট হাউসের সাংবাদিক সম্মেলনে। আমেরিকার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান এই প্রসঙ্গ তোলেন। ভারত-চিনের সীমান্ত সংঘাত জি ২০ সম্মেলনে প্রভাব ফেলবে কিনা, সেই উত্তরে সালিভানের মন্তব্য, “বিষয়টি চিনের উপর নির্ভর করছে। যদি চিন (সম্মেলনে) আসতে চায় এবং পণ্ড করার ভূমিকা নিতে চায়, সেই বিকল্পও তাদের হাতেই রয়েছে।”
চিনা প্রেসিডেন্টের কাজে অখুশি কমিউনিস্ট নেতারা?
জানা যাচ্ছে, মাসখানেক আগে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান এবং অবসরপ্রাপ্ত নেতাদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বেইদাইহের একটি সমুদ্রতীরবর্তী রিসর্টে। এই সম্মেলনের সমস্ত কিছুই গোপন থাকে। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কমিউনিস্ট পার্টির একদল প্রাক্তন শীর্ষ নেতার কাছ থেকে ধমক খেয়েছেন শি জিনপিং। চিনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন সে দেশের প্রাক্তন কমিউনিস্ট নেতারা। তাঁদের বার্তা হল, দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক অস্থিরতা যদি এই ভাবেই চলতে থাকে, তবে কমিউনিস্ট পার্টি জনসমর্থন হারাতে পারে। যা শাসকের কাছে হুমকির কারণ হয়ে যেতে পারে। প্রসঙ্গত, বহির্বিশ্বের নানা দেশের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের অত্যন্ত অবনতি হয়েছে এবং বাণিজ্যে মন্দা দেখা দিয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগও হ্রাস পেয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours