মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুল মুন প্লাকিং বা পূর্ণিমার রাতে চা পাতা তোলা এবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) মাঝেরডাবরি চা বাগানে হচ্ছে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয়। ইতিপূর্বে পরপর তিনটি দোল পূর্ণিমায় চা পাতা তুলে তা বাজারজাতও করা হয়েছে। ফুল মুন প্লাকিংয়ের চায়ের কদর রয়েছে দেশ-বিদেশেও।
কী বললেন চা বাগানের ম্যানেজার? (Alipurduar)
আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, পূর্ণিমার রাতের তোলা চা পাতার স্বাদ ও গন্ধ বছরের অন্যান্য সময়ে তৈরি হওয়া চা-পাতাকে হার মানায়। পূর্ণিমা রাতে চাঁদের আলো চা গাছের উপর পড়ায় ওই সময় পাতা গুণমানে ভরপুর থাকে। বাজারে চাহিদা থাকায় চলতি বছরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনও পূর্ণিমার রাত। ওই রাতেই ২০০০ কেজি চা-পাতা তোলার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
ফুল মুন প্লাকিং ওই চায়ের দাম কত?
বাজারে সিটিসি চা পাতা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে পাওয়া গেলেও ফুল মুন প্লাকিং-এর ওই চায়ের দর অপেক্ষাকৃত অনেকটাই বেশি। প্রতি কেজি চা পাতা পনেরশো টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে। মাঝেরডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষের আলিপুরদুয়ার, (Alipurduar) কলকাতা, শিলিগুড়ি, মুম্বই ছাড়াও বিভিন্ন রেল স্টেশনে তাদের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র বা আউটলেট রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১০০ গ্রাম চা পাতা ১৫০ টাকা দিয়েও ক্রেতারা সংগ্রহ করতে পারবেন।
কীভাবে তোলা হবে চা পাতা?
ফুল মুন প্লাকিং সাধারণত দোল পূর্ণিমার রাতেই গত তিন বছর ধরে করে আসছিল আলিপুরদুয়ারেরর (Alipurduar) মাঝেরডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষ। তবে বাজারে ওই চায়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এবার তা লক্ষ্মীপূর্ণিমাতেও করা হচ্ছে। কীভাবে তোলা হবে চা পাতা? সূর্য অস্ত যাওয়ার পর বাগানের একদল চা শ্রমিক মশাল হাতে নিয়ে এগিয়ে যাবেন। পিছনে মহিলা শ্রমিকরা তাঁদের নিজস্ব কায়দায় চায়ের কচি পাতা ঝোলায় ভরবেন। তবে, রাতের বেলা যেহেতু ওই চা পাতা তোলা হবে তাই প্রত্যেক শ্রমিকের কপালে একটি করে সার্চলাইট লাগানো থাকবে। এরপর সংগৃহীত চা পাতা চলে যাবে তাদের নিজস্ব কারখানায়। রাতের বেলাতেই চা পাতা তৈরি করে তা প্যাকেটজাত করে বাজারে ছাড়া হবে। তবে, লক্ষ্মী পূর্ণিমার রাতে চা পাতা তোলার ওই দৃশ্য দেখতে পর্যটক থেকে শহরের বহু উৎসাহী মানুষ বাগানে ভিড় করবেন বলেই জানা গিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours