মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর-২ পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে টালবাহানা চলছিল। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর স্থায়ী সমিতি গঠনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালতে কী জানাল রাজ্য?
গত ১১ সেপ্টেম্বর মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি গঠনের কথা ছিল। তার আগে পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেসি সভাপতি কুদ্দুস আলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পালটা আদালতে যান কুদ্দুস আলি। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থায়ী কমিটি গঠনে স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী কমিটি গঠন করা যাবে না বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সঙ্গে কবে রাজ্য সেখানে স্থায়ী কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় তা মঙ্গলবারের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয় ২৭ সেপ্টেম্বর সেখানে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় তারা। এরপরই বিচারপতি অমৃতা সিনহা বিরোধীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে একের পর এক নির্দেশ দেন।
পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে কী নির্দেশ দিলেন বিচারক?
এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশে জানিয়েছেন, ২৭ সেপ্টেম্বরই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হবে। বোর্ড গঠনের সময় ভোটাভুটিতে জেল থেকে হাজির করাতে হবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলিকে। এছাড়া কংগ্রেসের যে ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে তাদের ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ফের মামলাটির শুনানি হবে।
রানিনগরে ঠিক কী ঘটেছিল?
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হওয়ায় বিজয় সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বাম এবং কংগ্রেস। অভিযোগ, সেই সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ পুলিশের সঙ্গে একযোগে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশে যেতে বাধা দেন তৃণমূল কর্মীরাও। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে এই ঘটনা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, কংগ্রেস কর্মীরা রানিনগর থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালান। থানা লক্ষ্য করে চলে তুমুল ইটবৃষ্টি। রাজ্য সড়কের পাশে তৃণমূলের পার্টি অফিস মান্নান হোসেন ভবনেও ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, রানিনগর থানার পুলিশকে সাহায্য করতে ডেকে পাঠানো হয় আশপাশের থানার পুলিশকর্মীদেরও। তারপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে এবং লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি-সহ মোট ৩১ জন বাম এবং কংগ্রেস সমর্থককে। ধৃতদের লালবাগ আদালতে পেশ করা হয়। আদালত কুদ্দুস-সহ ৩১ জনকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours