মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর চব্বিশ পরগনার এই অভয়ারণ্য (Wildlife Sanctuary) বর্তমানে কথা সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে নামাঙ্কিত হয়েছে "বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য"। ইছামতী নদীর ধারে প্রায় ৬৮ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে গড়ে ওঠা এই অভয়ারণ্যে রয়েছে বাঁশ, তুঁত, শিরীষ, অর্জুন, শিশু প্রভৃতি গাছের নিবিড় অরণ্য। এই অরণ্যে হরিণ, খরগোশ, বাঁদর প্রভৃতি অজস্র প্রাণীর দেখা মেলে। এছাড়া দেখা মেলে ময়ূর, কাটঠোকরা, শঙ্খচিল, নীলকন্ঠ, সানবার্ড সহ বিভিন্ন রং ও প্রজাতির পাখির।
নদীবক্ষে নৌ-বিহার (Wildlife Sanctuary)
একদম ইছামতী নদীর তীরেই এই অরণ্য (Wildlife Sanctuary) হওয়াতে ইচ্ছে করলেই কোনও মাঝি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে দু-এক ঘণ্টার জন্য নদীবক্ষে নৌ-বিহার করাও সম্ভব। এখানেই রয়েছে অমর কথাশিল্পী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদি বাড়ি। এক কথায় যাঁদের হাতে ছুটি কম, বা কোনও না কোনও কারণে যাঁদের লম্বা ছুটি নিয়ে দূরের কোথাও লম্বা কোনও সফরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাঁরা একদিন বা দু'দিনের ছুটিতে অনায়াসেই ঘুরে আসতে পারেন এই কাছের "পারমাদন বা বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য' থেকে।
কোন পথে যাবেন (Wildlife Sanctuary)?
এই অভয়ারণ্য যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে বনগাঁ। শিয়ালদা থেকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় ছাড়ছে বনগাঁ লোকাল। সময় লাগে মোটামুটি আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। বনগাঁ থেকে মাত্র ১৬ কিমি দূরে পারমাদন অভয়ারণ্য। আবার বনগাঁ থেকে দত্তফুলিয়ার বাসে সামান্য পথ নলদুংরি এসে সেখান থেকে ভ্যানরিকশয় যাওয়া যায় ৩ কিমি দূরের এই অভয়ারণ্যে (Wildlife Sanctuary)।
ব্যবস্থা রয়েছে থাকারও (Wildlife Sanctuary)
সকাল সকাল বেরিয়ে সারা দিন ঘুরে সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে আসা যায় কলকাতায়। আবার এখানে থাকতে চাইলে তার জন্য রয়েছে পঃ বঃ বন উন্নয়ন নিগমের বনবাংলো (Wildlife Sanctuary)। এদের অনলাইন বুকিংয়ের জন্য এই ওয়েবসাইটে যেতে পারেন www.wbfdv.net। সেখানেই এই সংক্রান্ত নানা তথ্য পেয়ে যাবেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours