মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা জুড়ে সারের কালোবাজারি শুরু হয়েছে। শীতকালীন সবজি, আলু চাষও শুরুর মুখে। কৃষকরা সার কেনা শুরু করেছেন। আর এই সুযোগে সারের কালোবাজির শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। কার্যত মাথা হাত কৃষকদের।
কৃষকদের কী বক্তব্য?
কোচবিহার (Cooch Behar) জেলায় এই সময়ে সব থেকে বেশি আনাজ চাষ হয়। সেই সঙ্গে আলু চাষও শুরু হওয়ার মুখে। সে জন্য বাজারে সারের চাহিদা তুঙ্গে। সব মিলিয়ে জেলায় সারের কদর বাড়তে শুরু করেছে। আর এই সময়েই ‘সার নেই-সার নেই' বলে হাওয়া উঠেছে বাজারে। ফলে, ৪০০ টাকার প্যাকেটের ইউরিয়া কিনতে হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দিয়ে। চাষিদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, কোচবিহারের বহু বাজারে সারের কালোবাজারি হচ্ছে এমন করেই। প্রায় সমস্ত সার কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ কৃষকেরা। কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ঝাউকুঠি, বালাভূত, বক্সিরহাট-সহ একাধিক জায়গায় সারের কালোবাজারি চলছে। জিরানপুরের এক কৃষক মনোজ বর্মন বলেন, ইউরিয়া, ফসফেট, ডিএসপি, পটাশ সব ক'টি সারের দাম বেশি। প্রায় দ্বিগুণ। দেওয়ানহাটের কৃষক শরদিন্দু দেব বলেন, প্রত্যেক সার কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, প্রত্যেক বছর যে সময়ে সারের চাহিদা বাড়ে তখনই কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে কালোবাজারে ওই সার বিক্রি করা হয়। গ্রামের বাজারগুলিতে তেমন ভাবে কোনও নজরদারি না থাকায় বিক্রেতাদের আরও সুবিধা বেশি। সে জন্যে গ্রামে নজরদারি বাড়ানোর দাবি করা হয়েছে। কারণ, ছোট কৃষকেরা বেশির ভাগই গ্রামের ছোট বাজারগুলির উপরে নির্ভরশীল। সেই সুযোগেই অনেকে কালোবাজারি করে।
প্রশাসন কী করছে?
কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা কৃষি আধিকারিক গোপাল মান বলেন, ইতিমধ্যেই এমন অভিযোগ পেয়ে তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করা হচ্ছে। যাঁদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছু তথ্য আমরা হাতে পেয়েছি। অভিযান চালিয়ে চার জন ব্যবসায়ীকে ‘শো-কজ়’ করা হয়েছে। তিন জন ব্যবসায়ীকে সার বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া, সার বিক্রির অভিযোগে এক জনের মজুত সার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours