মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়সে নবীন হলেও হাওড়ায় বেশ কয়েক বছর ধরে নজর কেড়েছে চক্রবেড়িয়া অজানা সঙ্ঘের মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)। কিন্তু এবার আরও নজরকাড়া বিষয় হল, তাদের পুজোয় ঠাকুরও গড়ছেন এক মহিলা শিল্পী, নাম মধুমিতা রায়। ডায়মন্ড হারবারের মধুমিতা বিবাহ সূত্রে গত ৩৫ বছর হাওড়ার বেতাইতলার বাসিন্দা। স্বামীর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে প্রতিমা গড়েন। চক্রবেড়িয়া অজানা সঙ্ঘের পুজো মহিলা পরিচালিত বলে অধিকাংশ কাজ তিনি নিজের হাতেই করছেন। তাঁদের কাজে এখন পাশে পেয়েছেন জামাইকেও। মধুমিতা বলেন, আমার স্বামী ও জামাই ছাড়া শিল্পীরা আছেন। সংসারের অন্য সব কাজ করার মধ্যে যতটা সময় পাই, ঠাকুর গড়ার কাজ করি। ব্যবসাটাও পুরোটাই আমি সামলাই।
প্রতিমার মুকুট ও সাজ দক্ষিণ ভারতীয় ধাঁচে (Durga Puja 2023)
চক্রবেড়িয়া অজানা সঙ্ঘে দীর্ঘদিন ধরে সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, গত বছর আমরা প্রথম থিম পুজো করি। তবে প্রতিমায় কোনও বদল হয়নি। এবারে অবশ্য ঐক্যের বার্তা দিতে আমরা প্রতিমার মুকুট ও সাজ করছি দক্ষিণ ভারতীয় ধাঁচে। সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র শ্রীমানী বলেন, দুর্গাপুজো এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।দক্ষিণ ভারতের মমল্লাপুরমও এই তালিকায় বহু দিন ধরে রয়েছে। সেখানে যে দেবী দুর্গার মূর্তি রয়েছে, তাঁর সাজ দেখেই এমন ভাবনা। তবে আজকাল অনেক জায়গাতেই দক্ষিণী সাজ চোখে পড়ে। এবার আলাদা কোনও থিম না হলেও মহাদেবের বিশাল মূর্তি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। মূর্তি তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবারের ভাবনা জটাধারায়।
সঙ্ঘের সহ-সম্পাদক বরুণ সামন্ত বলেন, গতবার আমাদের পুজো (Durga Puja 2023) উদ্বোধন করেছেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী। এবারেও কোনও সন্ন্যাসী এই পুজো উদ্বোধন করবেন বলে স্বামী প্রণবানন্দ প্রতিষ্ঠিত আশ্রম থেকে জানানো হয়েছে। মণ্ডপে প্রতিমা আসে মহালয়ার সকালে। পুজোর উদ্বোধন হয় পঞ্চমীতে। তারপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে নামী শিল্পীদের পাশাপাশি থাকেন স্থানীয় শিল্পীরাও।
পশুবলি দেওয়া হয় না
চক্রবেড়িয়া অজানা সঙ্ঘের পুজো হয় নিষ্ঠার সঙ্গে। পুজো (Durga Puja 2023) চলাকালীন চণ্ডীপাঠ হয়। বলি হলেও এখানে পশুবলি দেওয়া হয় না। সন্ধিপুজোয় মণ্ডপ আলোকিত করা হয় তেলের আলোয়। আর চারদিন ধরে চলে আড্ডা। কারণ রান্নাবান্নার বালাই থাকে না। কুপন সিস্টেমে একেবারে বাঙালি খাওয়াদাওয়া। সপ্তমীতে মাছ, অষ্টমীতে লুচি, নবমীতে পাঁঠার মাংস, দশমীতে খিচুড়ি। সঙ্ঘের সিঁদুরখেলাও দেখার মতো। মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদেরও দেখায় যায় সিঁদুর মেখে ঘুরতে।
পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। তারই মধ্যে আগামী ৮ অক্টোবর ডেঙ্গি সচেতনতার জন্য সঙ্ঘ থেকে র্যালি বের হওয়ার কথা। তার ব্যানারও তৈরি করা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours