মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের সামনে তৃণমূলের অবস্থান মঞ্চ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ফোন নম্বর সামনে এনেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড দলের কর্মীদের নিদানও দিয়েছিলেন যে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ফোন করে যেন রাজ্যের দাবি মতো টাকাও চাওয়া হয়। এবার হুগলির এক সাধারণ লোকের (পরিচয় জানা যায়নি,মাধ্যম অডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি) সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ফোনের কথোপকথন সামনে এল। সেখানে ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘দাদা (সুকান্ত মজুমদার) একটাই অনুরোধ আপনার কাছে, কোনও টাকা যেন না আসে চোরেদের কাছে। পাশাপাশি ঐ ব্যক্তি আরও বলছেন, ওরা নিজেদের ইচ্ছা মতো জব কার্ডের টাকা নয়ছয় করেছে। আমাদের এলাকার সর্বনাশ করেছে তৃণমূলের নেতারা।’’ ফোনে ওই ব্যক্তিকে দাবি করতে শোনা যায়, অভিষেকের ঘোষণার পরেই তিনি সুকান্ত মজুমদারের ফোন নম্বর পেয়েছেন।
নিজের ফেসবুক পোস্টে কী লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?
বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) নিজের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই রেকর্ডিং সামনে আনেন এবং তিনি লেখেন, ‘‘জনগণের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের হিসাব দিন, আমরা জনগণের টাকা জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’’ বালুরঘাটের সাংসদের আরও সংযোজন, ‘‘আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ওরফে ভাইপো আমার নম্বর পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে দেওয়ার পর সাধারণ জনগণ আমাকে ফোন করে চোরেদের টাকা দিতে বারণ করছেন।’’ পাশাপাশি এদিন ২৫ লাখ ভুয়ো জব কার্ডের মাধ্যমে কতটাকা তৃণমূল আত্মসাৎ করেছে তাও জানতে চেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
তৃণমূলের নাটকবাজি
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে একপ্রস্থ নাটক করতে দেখা যায় অভিষেক ও তাঁর দলবলকে। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর অফিসের সামনে ধরনায় বসে পড়েন অভিষেক। অভিষেকের দাবি, ৪০ জনকে একসঙ্গে ঢুকতে দিতে হবে অফিসে। প্রসঙ্গত, গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর অফিস থেকে ৫ জনের প্রতিনিধি দলকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হলেও তা মানতে চায়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। বেআইনিভাবে মন্ত্রীর অফিসে ধরনার অভিযোগে দিল্লি পুলিশ তৃণমূলের নেতৃত্বকে সেই স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এরপরেই রাজ্যে ফিরে রাজভবন ঘেরাও করেন অভিষেক ও তাঁর দলবল। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। সত্যিই কি আলোচনার টেবিলে বসতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব? নাকি বাজার গরম করা এবং সস্তার রাজনীতিই তাঁদের উদ্দেশ্য? এই ইস্যুতে কলকাতায় এসে রীতিমতো তৃণমূলকে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আমি কলকাতাতেও তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বসতে রাজি। তবে তারা বসবে না আমি জানি।’’ ওয়াকিবহাল মহলের বলছে, সত্যিই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থাকলে, কোর্টের রাস্তা খোলা রয়েছে। সে পথে কেন হাঁটছেন না অভিষেক ও তাঁর দলবল?
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours