মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত এলাকা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার ইসলামপুর ব্লকের কমলাগাঁও সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারগছ এলাকায়। সংঘর্ষে ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যর স্ত্রী সহ আরও এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
কীভাবে সংঘর্ষ ঘটল (Uttar Dinajpur)?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই আব্দুল হক ও জাহিদুল রহমানের মধ্যে এলাকা (Uttar Dinajpur) দখল নিয়ে ঝামেলা চলছিল। উল্লেখ্য, উভয় পক্ষ তৃণমূলের সমর্থক। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িতে জোর করে টাকা আদায় করতে যায় জাহিদুল রহমান গোষ্ঠীর লোকজন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় পঞ্চায়েত সদস্যর স্ত্রীর উপর ছুরি নিয়ে তারা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এর জেরে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। ঘটনায় জখম হন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর স্ত্রী আনজুমা খাতুন সহ আরও এক। জখমদের উদ্ধার করে দ্রুত ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য। অন্যদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইসলামপুর থানার পুলিশ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকা থমথমে রয়েছে।
আহত তৃণমূল সমর্থকের বক্তব্য
পঞ্চায়েত সদস্যর স্ত্রী আহত আনজুমা খাতুন বলেন, “মূলত চাঁদার জন্য বাড়িতে এসে চড়াও হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। পুরো বাড়িকে (Uttar Dinajpur) চারপাশ থেকে ঘেরাও করে নেয় খসিবুল আর ফজিররা। কিন্তু আমি কারণ জিজ্ঞেস করলে, আচমকা ওরা আমার গলা টিপে ধরে এবং সেই সঙ্গে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। যারা মেরেছে তারা জাহিদুল রহমানের লোক। আর আমরা হলাম আব্দুল হকের লোক। আমার স্বামী এই সময়ে আজমীর শরিফে গেছেন। আর এই সুযোগে গুন্ডারা আক্রমণ করে।” এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা জিজ্ঞাসা করলে পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রী মেনে নেন যে এই মারামারির ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ফলেই ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য
স্থানীয় বাসিন্দা তাজিমূল বলেন, “এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। যারা মারধর করেছে তারা নব্য তৃণমূল, আর যাকে মেরেছে তারা হল আদি তৃণমূল। অনেক দিন ধরেই বিবাদ চলছে দলের মধ্যে। আজ বাড়িতে (Uttar Dinajpur) ঢুকে ছুরি দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানাবো।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours