Khardah: দুই কাউন্সিলারের প্রকাশ্যে মারামারি নিয়ে নিন্দায় সরব টিটাগড়বাসী, মুখ পুড়েছে তৃণমূলের

টিটাগড় কাণ্ডে পুলিশের প্রশংসায় অর্জুন, হামলাকারীদের ফাঁসির দাবি জানালেন মৃত যুবকের পরিবার
Khardah_(5)
Khardah_(5)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্যে দুই কাউন্সিলারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে ছি ছি করছে গোটা টিটাগড় এলাকা। কার্যত দলের মুখ পুড়েছে এই ঘটনায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, জনপ্রতিনিধিদের কাজ এলাকাকে শান্ত রাখার। তারা এলাকাকে অশান্ত করছে। অবিলম্বে এই সব কাউন্সিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। না হলে আগামীদিনে আরও এই ধরনের ঘটনা ঘটবে। রবিবার তৃণমূল কর্মী খুন হওয়ার পর প্রকাশ্যে তৃণমূল কাউন্সিলারকে ধমক দিয়েছেন খড়দা (Khardah) থানার আইসি রাজকুমার সরকার। দলদাস পুলিশের ঘুরে দাঁড়ানো দেখে হতবাক হয়েছিলেন রাজ্যবাসী। সবাই ভেবেছিলেন ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল সাংসদ অর্জুন সিং প্রকাশ্যেই ওই অফিসারের প্রশংসা করেছেন।

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন অর্জুন? (Khardah)

অর্জুন সিং বলেন, 'খড়দার (Khardah) আইসি-র আমি ট্র্যাক রেকর্ড দেখেছি। তিনি অ্যান্টি ক্রিমিনাল অফিসার। জনপ্রতিনিধিদের তোলাবাজি করতে নিষেধ করেছিলেন। আমি জানি, ওর মেরুদণ্ড সোজা আছে। তিনি ঘুষ খান না। তিনি এলাকায় ভাল কাজ করার চেষ্টা করছেন। আমি স্থানীয় সাংসদ হতে পারি। দলের নিয়ম-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখেন তাপস রায়। তারা দলগতভাবে যা পদক্ষেপ নেবে। তবে, ওই পুলিশ আধিকারিক যেভাবে কড়া হাতে ব্যবস্থা নিয়েছে অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বাইরে থেকে কোনও চাপ না থাকলে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের তিনি গ্রেফতার করবেন। আসলে যারা এতদিন রাজনীতি করেনি রাজনীতিতে এসে তারা অতীত ভুলতে পারছেন না।' দলীয় কাউন্সিলারদের পাশে না থেকে পুলিশ প্রশাসনের প্রশংসা করায় বারাকপুরে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ, কিছুদিন আগেই বারাকপুরে ডাকাতি কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন কী বললেন?

সোমবার গোটা এলাকা থমথমে ছিল। পাঁচ নম্বর পানিট্যাঙ্কি এলাকায় আকাশ প্রসাদের বাড়িতে সকাল থেকেই জটলা ছিল। বেলা বাড়তেই ভিড় বাড়তে শুরু করে।  সন্ধ্যার পর আকাশের দেহ আসলে কান্নায় ভেঙে পড়েন এলাকাবাসী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আকাশরা দুই ভাই। তাঁর চার বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করতেন। আকাশের মা শকুন্তলা দেবী বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ। তাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। আমরা দোষীর ফাঁসি চাই। এভাবে অকালে আমার ছেলেকে কেড়ে নেওয়ার ঘটনা আমরা মানতে পারছি না। প্রসঙ্গত, টিটাগর পৌরসভা এলাকায় ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিকাশ সিংহের সঙ্গে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সনু সাউয়ের গন্ডগোল দীর্ঘদিনের। সেই গন্ডগোলের মধ্যে পড়ে বিকাশের অনুগামী হিসেবে পরিচিত আকাশ প্রসাদের মৃত্যু হয়। তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়েই রবিবার খড়দা থানা পুরানি বাজার এলাকার উত্তাল হয়ে ওঠে। আকাশের দেহ নিয়ে খড়দা থানায় নিয়ে গিয়ে পরিবারের লোকজন দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। সেখানেই তৃণমূল কাউন্সিলার সনু সাউকে প্রকাশ্যে ধমক দেন খড়দা (Khardah) থানার আইসি। তিনি বলেছিলেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে গুন্ডার মতো আচরণ করছেন। এটা ঠিক নয়।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles