মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্ককে শুরু হয়েছে বিশ্ব হিন্দু সম্মেলন (World Hindu Congress)। সেখানেই বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হিন্দু দর্শনের প্রয়োজনীয়তার কথা নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। প্রসঙ্গত, থাভিসিন নিজে হাজির থাকতে পারেননি সম্মেলনে। তাঁর পাঠানো লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয় বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘‘হিন্দু দর্শন, অহিংসা, সত্য, সহ্য-ক্ষমতা এবং সম্প্রীতির কথা বলে। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং একটি সুশৃঙ্খল সমাজ তৈরি করতে এগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ওই লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে আরও জানিয়েছেন যে বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনকে অনুষ্ঠিত করতে পেরে থাইল্যান্ড সম্মানিত এবং গর্বিত।
৬১ দেশ থেকে হাজির ২,২০০ প্রতিনিধি
প্রসঙ্গত চলতি বছরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে হাজির ছিলেন ২,২০০ প্রতিনিধি। ৬১ দেশ থেকে এই প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। শিক্ষা, অর্থনীতি, গবেষণা, সাংবাদিকতা, রাজনীতি এই সমস্ত ক্ষেত্র থেকেই প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। তিন দিন ধরে চলা বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে, হিন্দুদের সারা বিশ্বে যে ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে সে নিয়েই আলোচনা করেন বিভিন্ন প্রতিনিধিরা। এর আগে বিশ্ব হিন্দু সম্মেলন (World Hindu Congress) অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালে দিল্লিতে এবং ২০১৮ সালে শিকাগোতে।
হাজির সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতও
প্রসঙ্গত প্রতি চার বছর অন্তর বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনের (World Hindu Congress) আয়োজন করা হয়। চলতি বছরের তা অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাইল্যান্ডের রাজধানীতে। বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনের (World Hindu Congress) উদ্যোগ নেয় 'ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশন'। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয় সম্মেলন এবং চলবে আজ ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত। বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতও। নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু ধর্মে অনেক মত রয়েছে, উপাসনার পদ্ধতি রয়েছে, এবং এর প্রত্যেকটিই হল ধর্মের উদাহরণ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হিন্দু ধর্মের সমস্ত সম্প্রদায়কে শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে।’’ বসুধৈব কুটুম্বকমের কথাও শোনা যায় মোহন ভাগবতের মুখে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours