Singur: “সিঙ্গুরের মাটিতে প্রথম সরষের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন কে?” পরীক্ষার প্রশ্ন ভাইরাল

সিঙ্গুরে মমতার আন্দোলন পরীক্ষার প্রশ্নে, বিতর্ক তুঙ্গে
Singur
Singur

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: "সিঙ্গুরের মাটিতে প্রথম সরষের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন কে?" সিঙ্গুর (Singur) গোপাল মোহিনী মল্লিক গার্লস হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় ইতিহাসের প্রশ্ন এটি। আর এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল। বলা বাহুল্য, এ ধরনের প্রশ্নের সমালোচনায় মুখর নেট দুনিয়া। অনেকেই রাখঢাক না করে তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন। এমনকী ছাত্রীদের অভিভাবকরাও এ ধরনের প্রশ্নের যৌক্তিকতা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন। বিজেপি তো সরাসরিই বলছে, মাথারা যখন জেলে, তখন শিক্ষা ব্যবস্থার আর রইলটা কী?

বিতর্ক কীভাবে দানা বাঁধল? (Singur)

'অতীত ও ঐতিহ্য'। এটি হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক। তারই একটি অধ্যায় হল 'কৃষিজমির অধিকার, সিঙ্গুর গণ আন্দোলন'। বোঝাই যায়, তৃণমূল ক্ষমতাবলে নিজেদের আন্দোলনকেই গণ আন্দোলন নাম দিয়ে ছেলেমেয়েদের মধ্যে প্রচারের এই অভিনব এবং ন্যক্কারজনক পরিকল্পনা নিয়েছিল। আর এটাই ছিল সেই সময় বিতর্কের মূল বিষয়। অনেকেই সেই সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন, শিক্ষায় এভাবে রাজনীতিকে টেনে আনা কেন? কিন্তু সরকার কারও কথাতেই গুরুত্ব দেয়নি। সেই বইয়ের জেরেই এবার নতুন বিতর্ক। কারণ অনেকেই হয়তো জানেন, টাটাদের হটিয়ে সেই জমিতে চাষ শুরু করিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রতীক হিসেবে তিনি নিজে জমিতে (Singur) নেমে সরষের বীজ ছড়িয়েছিলেন। কিন্তু এরকম একটি বিতর্কিত এবং রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে পরীক্ষার প্রশ্ন? অনেকেই হতবাক, জমছে ক্ষোভও।

কে কী বলছেন?(Singur)

সিঙ্গুরের বিজেপি নেতা মধুসূদন দাসের তোপ, তৃণমূল ক্ষমতার দম্ভে পাঠ্যপুস্তকে নিজেদের মতো করে ইতিহাস লিখেছে। ফলে এর মধ্যে সত্যতা নেই বললেই চলে। এভাবে ভুল জিনিস শিখিয়ে ছেলেমেয়েদের ভুল পথে চালিত করা হচ্ছে। বইয়ে লেখা ইতিহাসের চরিত্রদের অনেকেই তো জেলের ঘানি টানছেন। এই ধরনের প্রশ্ন চাটুকারিতারই নির্লজ্জ উদাহরণ। রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকারা আসলে যে শাসক দলের দাস-দাসী, তা এসব দেখলেই বোঝা যায়।

যদিও সিঙ্গুর (Singur) ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি গোবিন্দ ধাড়া এর মধ্যে খারাপ কিছু দেখছেন না। তাঁর যুক্তি, চাষিরা জমি ফিরে পাওয়ার পর ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতীকী সরষে ছড়িয়েছিলেন। এটা বাস্তব এবং সেই কারণে পাঠ্যপুস্তকেই রয়েছে। সুতরাং বই বা সিলেবাসে যা আছে, প্রশ্নও তো সেখান থেকেই এসেছে। বাইরে থেকে তো নয়।

বিতর্ক পিছু ছাড়ার নয় (Singur)

হুগলি জেলার সিঙ্গুর (Singur) বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রে এবং নানা কারণে খবরের শিরোনামে। টাটার কারখানা, জমি অধিগ্রহণ, মমতার আন্দোলন-এসবই যখন রাজ্য সরকার পাঠ্যপুস্তকে স্থান দিল, তখন তা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। কিন্তু তারপরেও সিঙ্গুর নিয়ে বিতর্ক যে পিছু ছাড়ার নয়, এবারের ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে দিল।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles