ICDS: ডিমের দাম ছুঁয়েছে ৮ টাকা, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য রাজ্যের বরাদ্দ মাত্র আড়াই টাকা!

বাজারে দেনা, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার মিলছে না প্রসূতি ও শিশুদের!
ICDS
ICDS

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিশু ও প্রসূতিদের খাবারের জন্য বরাদ্দ টাকা সঠিক সময়ে পাচ্ছেন না অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা (ICDS)। অভিযোগ, অগ্নিমূল্যের বাজারে ন্যূনতম টাকা বরাদ্দ হিসেবে দেওয়া হয়। যে টাকা দিয়ে ডিম কেনা বা অন্য সামগ্রী কেনা সম্ভব নয়৷ অনেক ক্ষেত্রেই শিশু ও প্রসূতিদের বরাদ্দ থেকে কম খাবার দিতে বাধ্য হচ্ছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। পাহাড়প্রমাণ বাকি জমেছে মুদি ও সবজির দোকানে। ধারে মাল দেওয়া বন্ধ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল, মঙ্গলবার থেকে বালুরঘাটের বেশ কিছু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খাবার দিতেই পারছেন না কর্মীরা। খাবার নিতে এসেও খালি হাতে ঘুরে যেতে হচ্ছে শিশু ও তাদের অভিভাবকদের। কেন্দ্রগুলি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ার দিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা।

খাবারের টাকা নিয়মিত মিলছে না (ICDS)

প্রসঙ্গত, জেলায় সব মিলিয়ে ৩২০০র বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। বালুরঘাট শহরে ২৯১টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে এবং বালুরঘাট ব্লকে রয়েছে ৪৪৪টি। এই কেন্দ্রগুলি থেকে শিশু ও প্রসূতিদের পুষ্টিযুক্ত সুষম খাবার দেওয়া হয়। অভিযোগ, তিন-চার মাস হল খাবারের টাকা নিয়মিত পাচ্ছেন না অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। এমনকী দীর্ঘদিনের পুরানো বাজারমূল্য হিসেবেই টাকা দেওয়া হয়। এখন ডিমের দাম ৮ টাকা হলেও দেওয়া হচ্ছে আড়াই টাকা৷ জ্বালানি হিসেবে যে টাকা দেওয়া হয়, তাও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এইসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি আইসিডিএস-এর কর্মীরা জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন। তারপরেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় গতকাল থেকে অনেক কেন্দ্র থেকে খাবার দিতে পারেননি কর্মীরা। এদিনে শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ড সহ বেশ কিছু এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র (ICDS) থেকে খাওয়ার দিতে পারেননি কর্মীরা।

দোকানদার আর জিনিস দিতে চাইছেন না (ICDS)

এই বিষয়ে এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বলেন, আমরা গত তিন মাস ধরে কোনও টাকা পাচ্ছি না। ফলে দোকানে বাকি পড়ে রয়েছে। দোকানদার আর জিনিস দিতে চাইছেন না। আমরা নিজেদের টাকা থেকে অঙ্গনওয়াড়ির জিনিসপত্র কিনছি। আমরা এইসব বিষয় জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। প্রশাসনের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। আমরা যদি টাকা ঠিক করে না পাই, আগামী দিনে আমরা সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি (ICDS) বন্ধ করে দেব। এই বিষয়ে এক অভিভাবক বলেন, আমরা ঠিক করে খাবার পাই না। আমরা এই খাবারগুলো বাচ্চাদেরকে খাওয়াই। এইভাবে চললে সমস্যায় পড়তে হবে।

কী বললেন জেলাশাসক?

এনিয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, এখন নতুন একটা সিস্টেমে পেমেন্ট (ICDS) দেওয়া হচ্ছে। তাই টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়েই দেখছি, যাতে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা যায়।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles