South 24 Parganas: দেড় ফুট লম্বা, মাত্র ১৫ কেজি ওজনের সঞ্চিতা এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

নিজেদের অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মেনেছে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা, মাধ্যমিকে বসল পড়ুয়ারা...
South_24_Parganas
South_24_Parganas

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গে নিয়েই জীবনের বড় পরীক্ষায় বসল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপের সঞ্চয়িতা গিরি, সুজয় দাস, মুক্তা দাসেরা। তিনজনই কাকদ্বীপের অক্ষয়নগর জ্ঞানদাময়ী বিদ্যাপীঠের পড়ুয়া। এবছর তাদের মাধ্যমিকের সিট পড়েছে অক্ষয়নগর কোমরনারায়ণ হাইস্কুলে। অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে হার মানল শারীরিক অক্ষমতা। এলাকায় খুশির আবহ।

মাত্র ১৫ কেজি ওজনের পরীক্ষার্থী (South 24 Parganas)

দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) অক্ষয়নগর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্চয়িতার উচ্চতা মেরেকেটে এক থেকে দেড় ফুট। ওজন ১৫ কেজি। জন্ম থেকেই অসুখ-বিসুখে জর্জরিত। অভাবের সংসারে যথাযথ চিকিৎসাও মেলেনি। তবু অদম্য ইচ্ছার জোরেই সে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। তাই সেই মতো দিচ্ছে অন্যান্য স্বাভাবিক পরীক্ষার্থীদের মতোই পরীক্ষা। সঞ্চয়িতার বাবা পেশায় দিনমজুর। এর মধ্যেই মেয়ের এই অদম্য ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে প্রতিদিন দাদার কোলে, মায়ের কোলে করেই পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাচ্ছে সঞ্চয়িতা। অন্যদিকে সঞ্চয়িতা পড়াশোনার পাশাপাশি খুব সুন্দর অঙ্কন করে থাকে। ইতিমধ্যেই জেলায় বিশেষভাবে সক্ষমদের প্রতিযোগিতায় সে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। সঞ্চয়িতা চায় পড়াশোনার পাশাপাশি বড় হয়ে চিত্রশিল্পী হবে।

মূক ও বধির পড়ুয়া মাধ্যমিক দিচ্ছে

অন্যদিকে কাকদ্বীপের (South 24 Parganas) বাসিন্দা মুক্তা দাস মূক ও বধির। ছোটবেলাতেই এই প্রতিবন্ধকতা ধরা পড়ে তার। অনেক চিকিৎসা করেও মেলেনি কোনও সুরাহা। মেয়ের লেখাপড়া নিয়ে সংশয় ছিল পরিবারের লোকজনের। তবে হাল ছাড়েনি মুক্তা। পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে নিজের উদ্যোগেই। সেও এবার সবার মতোই দিচ্ছে জীবনের বড় মাধ্যমিক পরীক্ষা। অন্যদিকে মুক্তাকে কষ্ট করে পড়াশোনা করতে হলেও তার হাতের লেখা নাকি অত্যন্ত সুন্দর।

স্নায়ুর সমস্যা নিয়েও পরীক্ষার্থী

সুজয় দাস জন্ম থেকেই বিকলাঙ্গ, হাঁটাচলা করতে পারে না। লাঠি ধরে চলাফেরা করতে হয় তাকে। ছোট থেকেই স্নায়ুর সমস্যা তার। তিনবার অস্ত্রোপচার হয়েছে। সুজয়ের বাবা পেশায় একজন মৎস্যজীবী। অনেক কষ্ট করে অভাবের মধ্যেই পড়াশোনা করতে হয়েছে সুজয়কে। কিন্তু তার মধ্যেও জীবনের অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে হার মেনেছে প্রতিবন্ধকতা। তবে এই বিষয়ে অক্ষয়নগর জ্ঞানদাময়ী বিদ্যাপীঠের (South 24 Parganas) প্রধান শিক্ষক আশিষকুমার মাইতি বলেন, "আমরা গর্বিত তাদের এই অদম্য ইচ্ছার কাছে। আর পাঁচজনের মতোই তারা পরীক্ষা দিচ্ছে এবং আশানুরূপ ফলও করবে বলে তাদের উপর ভরসা রয়েছে।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles