মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র ওপর হামলার প্রায় দুমাসের মাথায় পুলিশ গ্রেফতার করে শাহজাহানকে। এতদিন তিনি পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। পরে, আদালতের নির্দেশে শাহজাহানকে বুধবারই নিজেদের হেফাজতে পায় সিবিআই। রাতেই সন্দেশখালি যান সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর টিম।
সন্দেশখালি গিয়ে কী করল সিবিআই? (CBI)
সন্দেশখালিতে ইডি-র ওপর শাহজাহান বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। এই ঘটনার পর শাহজাহান এবং তাঁর অনুগত অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইডি অফিসারদের খুনের চেষ্টার অভিযোগ করেছিল ইডি। পরে ন্যাজাট থানার পুলিশ ইডির ওপর হামলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীকালে সেই মামলায় যুক্ত করা হয় খুনের চেষ্টার ধারাও। কিন্তু, অভিযুক্ত হিসাবে সেখানে শাহজাহানের নাম ছিল না। মঙ্গলবার এই দুই অভিযোগের ভিত্তিতেই সন্দেশখালির ঘটনায় দু'টি এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। শুরু করে তদন্ত। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতাহাই কোর্টের নির্দেশানুসারে সন্দেশখালি মামলায় অভিযুক্ত শাহজাহানকে হেফাজতে নেয় তারা। বুধবার রাতে সিবিআইয়ের (CBI) দল সন্দেশখালি গিয়ে সেখানে উপস্থিত উচ্চ পদাধিকারী পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে। একই সঙ্গে পুলিশের কাছ থেকে তাদের করা অভিযোগ সংক্রান্ত নথিপত্রও সংগ্রহ করেছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।
বসিরহাট থানায় নথি সংগ্রহ করল সিবিআই
সন্দেশখালিতে হওয়া ইডির ওপর হামলার ঘটনারই তদন্তে নেমেছে সিবিআই। বুধবার এই সংক্রান্ত দু'টি এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এছাড়া একটি মামলা দায়ের হয়েছে বনগাঁয়। রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা তথা প্রাক্তন পুরপিতা শঙ্কর আঢ্যের বাড়ির সামনে হওয়া ইডির ওপর হামলার ঘটনায়। সন্দেশখালির দু'টি মামলার একটি দায়ের হয়েছিল ইডির অভিযোগের ভিত্তিতে। অন্যটি করা হয়েছে ন্যাজাট থানার পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে। সূত্রের খবর, এই এফআইআর সংক্রান্ত বিষয়েই ন্যাজাট থানার পুলিশের সঙ্গে বুধবার রাতে যোগাযোগ করেন সিবিআইয়ের (CBI) আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার বসিরহাট থানায় গিয়ে পুলিশের দায়ের করা মামলার নথি সংগ্রহ করল সিবিআই। হামলার পর শাহজাহান ফোনে কার কার সঙ্গে কথা বলেছিল তা খতিয়ে দেখতে কল ডিটেলস চেক করছেন আধিকারিকরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours