মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ডেরায় সিবিআই হানা দেয়। তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে পৌঁচ্ছে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হাতুড়ে চিকিৎসক শফিকুল মোল্লার বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা দেয়। সন্দেশখালির ডুগরিপাড়া গ্রামে ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়ি। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। বাড়ির বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকেরা। এর আগে ভুগরিপাড়া গ্রামের আরও একটি বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআই। দিন আলি মোল্লা নামের ওই গ্রামবাসীর ছেলে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইলের খোঁজ করছিলেন গোয়েন্দারা। এর পর ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাঁরা যান হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়িতে।
চিকিৎসকের ভা়ড়াটেদের জিজ্ঞাসাবাদ (CBI)
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। ওই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত শাহজাহান এখন তাদের হেফাজতে রয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দিনভর শাহজাহানকে জেরা করেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তার পরেই শুক্রে তাদের দল পৌঁছে গিয়েছে সেই শাহজাহানের ডেরায়। ডুগরিপাড়ার চিকিৎসকের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তিনি পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক হলেও তাঁর বাড়ির দোতলায় একটি স্কুল চলে। স্কুলটির নাম সরবেড়িয়া ডুগরিপাড়া চাইল্ড অ্যাকাডেমি। এছাড়া ওই বাড়ির নীচের তলায় অনেক ভাড়াটে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, তাঁদের কেউ মুর্শিদাবাদ, কেউ দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে সন্দেশখালিতে এসেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী বাইরে থেকে গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে। বাড়ির প্রত্যেকের পরিচয়পত্র যাচাই করা হয়। সিবিআইকে দেখে বাড়ির মহিলারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ঘরের তালা ভেঙেছে সিবিআই
ডুগরিপাড়ার এই বাড়ির একটি ঘরের তালাও ভেঙেছে সিবিআই (CBI)। সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখের বাড়ির সামনে ইডির ওপর হামলার সময়ে এই বাড়ির কেউ উপস্থিত ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে, শফিকুল সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন। চিকিৎসকের কন্যা বলেন, হঠাৎ করে ওরা আমাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। আমি জানি না কেন ওঁরা এসেছেন। বাবা এখন বাড়িতে নেই। শাহজাহানকে এলাকার নেতা হিসাবে চিনি। আমাদের বাড়িতে তাঁর যাতায়াত নেই। ৫ জানুয়ারি ঘটনার দিন আমার বাবা বাড়িতেই ছিলেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours