Sujay Krishna Bhadra: ইডির হাতে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষার রিপোর্ট, কী আছে তাতে? ডরাচ্ছে তৃণমূল

কল রেকর্ডিংয়ের সঙ্গে মিলেছে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বর! এবার কি ফাঁসবে তৃণমূল?...  
SSKM-Sujay-Krishna
SSKM-Sujay-Krishna

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘কালীঘাটের কাকু’র (Sujay Krishna Bhadra) কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা রিপোর্ট হাতে পেল ইডি। বৃহস্পতিবার কলকাতার কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি থেকে মুখবন্ধ একটি খামে করে রিপোর্টটি এসে পৌঁছেছে ইডির দফতরে। তবে ওই রিপোর্টে ঠিক কী বলা হয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানো হয়নি ইডির তরফে।

কালীঘাটের কাকু (Sujay Krishna Bhadra)    

শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে কলকাতার পিজি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তার পর থেকে দীর্ঘদিন তাঁর কণ্ঠস্বর পরীক্ষার সুযোগ মেলেনি। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শেষমেশ ৪ জানুয়ারি জোকা ইএসআই হাসপাতালে ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট হয় তাঁর। সুজয়ের স্বর ডিজিটালি রেকর্ড করে রাখা হয়। অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, পরীক্ষাগারে দেখা গিয়েছে দু’টি স্বরই এক ব্যক্তির (Sujay Krishna Bhadra)। রিপোর্ট হাতে পেতেই যারপরনাই উচ্ছ্বসিত ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার ফাঁসবে নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে দুর্নীতির পর্দা।

ইডির হাতে গ্রেফতার কাকু

নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গত ৩০ মে সুজয়কে গ্রেফতার করে ইডি। তার পর থেকে অনেকটা সময় হাসপাতালে কাটিয়েছেন তিনি। ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। নিয়োগ কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস করতে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে চায় ইডি। এজন্য আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। হাইকোর্টে নমুনা সংগ্রহে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হলেও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, সুজয়ের শারীরিক অবস্থা ঠিক না হওয়া অবধি তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে না। ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। ইএসআই হাসপাতালে সুজয়ের শারীরিক সুস্থতা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। শেষমেশ ৪ জানুয়ারি জোকা ইএসআই হাসপাতালে ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট হয় কাকুর।

আরও পড়ুুন: দিনহাটাতেই ‘বন্দি’ থাকতে হবে উদয়নকে, ফরমান কমিশনের, বিপাকে তৃণমূল!

নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার যে রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেয় ইডি, সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সম্পত্তি সংক্রান্ত খতিয়ানও দিয়েছিল ইডি। অভিষেকের এই সংস্থায়ই কাজ করতেন সুজয়। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই ভয়েস স্যাম্পেল যে মিলবে, সেটা সকলের জানা। তবে এই ভয়েস স্যাম্পেলের ওপর নির্ভর করে হরিপালের বড় কোনও ডাকুকে ধরবে, মানুষ আর সেটা নেবে না (Sujay Krishna Bhadra)।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles