Back Pain: সন্তানের পিঠের ব্যথা নিয়ে দুশ্চিন্তা? খেলার পরেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে? কীভাবে কমবে সমস্যা? 

একরত্তি পিঠের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছে? কীসের ঘাটতিতে বাড়ছে ভোগান্তি? 
Back_Pain
Back_Pain

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

সাঁতার কেটে ফেরার পরে কিংবা বিকেলে মাঠে খেলাধুলোর শেষে বাড়িতে ফিরতেই ক্লান্তি গ্রাস করে। একরত্তির চোখ বুজে আসে। টানটান করে পড়তে বসতে চায় না পরিবারের সবচেয়ে খুদে সদস্য। আবার, মাঝেমধ্যেই কোমরে কিংবা পিঠের ব্যথায় কষ্ট হয়। স্কুল পড়ুয়াদের অনেকেই পিঠে ব্যথার (Back Pain) সমস্যায় ভুগছে।‌ এমনকি হাতে-পায়ের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে অনেক শিশু। দুশ্চিন্তা বাড়ছে অভিভাবকদের। তবে, চিকিৎসকদের পরামর্শ, বাবা-মায়েরা সতর্ক না হলে পরবর্তীতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই সন্তানের ক্লান্তিভাব বাড়লে, অতিরিক্ত হাত-পায়ের যন্ত্রণা কিংবা ঘনঘন কোমরে আর পিঠে ব্যথায় কষ্ট পেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। শিশু ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভুগছে কিনা, সেদিকে নজর রাখতে হবে। ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে এই ধরনের সমস্যা আরও বাড়বে। এমনকি খুব কম বয়স থেকেই অস্ট্রিয় পোরেসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ও বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশাপাশি হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে, আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

অভিভাবকেরা কীভাবে সতর্ক হবেন? (Back Pain)

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাচ্চারা অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়লে অভিভাবকদের বাড়তি নজরদারি দরকার। মাঠে খুব বেশি খেলাধুলো করলে বা দীর্ঘ সময় সাঁতার কাটার মতো শারীরিক কসরত করলে ক্লান্ত হয়ে পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ সব সময় থাকলে তা বিপজ্জনক। একেবারেই পড়াশোনায় মনোযোগ করতে না পারলে বুঝতে হবে, সমস্যা বাড়ছে। পাশপাশি, পিঠ টানটান করে বসতে না পারলে, লাগাতার পিঠে ও কোমরে যন্ত্রণা অনুভব করলে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, দশ বছরের কম বয়সি শিশুদের অনেক সময়েই হাতে-পায়ে গ্রোইং পেন হয়। অর্থাৎ, এই বয়সের ছেলেমেয়েদের শরীর বড় হয়। তাই পেশিতে তার প্রভাব পড়ে (Back Pain)। তাই অনেক সময়েই বিশেষ করে রাতে হাতে ও পায়ে যন্ত্রণা অনুভব হয়। তবে যদি হাতে-পায়ে লাগাতার যন্ত্রণা অনুভব হয়, তাহলে কিন্তু বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁদের পরামর্শ, চিকিৎসকের কাছে দ্রুত যাওয়া জরুরি। সন্তানের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে কিনা, তা নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সেই ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

কীভাবে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ সম্ভব? (Back Pain)

শিশুদের শরীরে বাড়তি ক্যালসিয়াম সব সময় জরুরি। কারণ বাড়ন্ত শরীরে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা বেশি থাকে। তাই শিশুদের পুষ্টিতে বাড়তি নজরদারি দরকার। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। আবার ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ, শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে সমস্যা রয়েছে (Back Pain)। অধিকাংশ শিশু চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত। আবার প্রয়োজনের তুলনায় অধিক ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়ায় বাড়ছে স্থূলতার সমস্যা। তাই সন্তানের ডায়েট নিয়ে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 

১) পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সন্তানকে নিয়মিত দুধ খাওয়াতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে দুধ। তাই নিয়মিত দুধ খেলে হাড়ের জোর বাড়ে। হাড় মজবুত হয়। আবার ক্লান্তি কমে। তাই নিয়মিত ডায়েটে রাখতে হবে দুধ। 
২) দুধের পাশপাশি ছানা এবং পনির খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পনীরের একাধিক পদ তৈরি করা যায় (Back Pain)। তাই শিশুদের একঘেয়ে লাগবে না। নিয়মিত পনীর খেলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়া ছানা‌ ক্যালসিয়ামের জোগান দেওয়ার পাশপাশি এনার্জি জোগাতে বাড়তি সাহায্য করবে। 
৩) নিয়মিত অন্তত একটা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমে রয়েছে একাধিক ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম। তবে ডিম সিদ্ধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিদ্ধ ডিম সহজপাচ্য। তাই শরীরের জন্য বেশি উপকারী। 
৪) মুসুর গাল, মটর, ছোলার মতো দানাশস্য নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন এই ধরনের খাবারে শরীরে ক্যালসিয়ামের পাশপাশি ফাইবারের ঘাটতিও পূরণ করে। তাই পেশি ও হাড় মজবুত হয়। 
৫) সন্ধ্যা কিংবা সকালের জলখাবারে সন্তানকে চাউমিন, এগরোলের পরিবর্তে সিদ্ধ ডাল, ভিজে ছোলা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এতে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব সহজেই পূরণ হবে (Back Pain)।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles