Mayawati: ভোটের মধ্যেই ‘ভাইপো’কে দলীয় উত্তরসূরীর পদ থেকে সরালেন ‘পিসি’!

lok sabha elections 2024: ভোটের মধ্যেই ‘ভাইপো’কে দলীয় উত্তরসূরীর পদ থেকে সরালেন ‘পিসি’, কেন জানেন?...
mayawati_f
mayawati_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার উলটপুরাণ উত্তরপ্রদেশে! এ রাজ্যে অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও ‘ভাইপো’কে উত্তরসূরি বানিয়ে ফেলেছেন ‘পিসিমণি’! যার জেরে তৃণমূল স্তর থেকে রাজনীতি করে আসা পোড়খাওয়া অনেক রাজনীতিকই দলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে ঘাসফুল শিবির ছেড়েছেন। কংগ্রেসের ডিএনএ থেকে জন্ম নেওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও উঠেছে ‘পরিবারতন্ত্রে’র অভিযোগ। বাংলার এই ছবিরই উল্টো চিত্র দেখা গেল উত্তরপ্রদেশে, মায়াবতীর (Mayawati) বহুজন সমাজবাদী পার্টিতে। সেখানেও অবশ্য পরিবারতন্ত্রই বহাল, তবে ভিন্ন রূপে।

ভাইপোকে সরালেন মায়াবতী (Mayawati)

ফেরা যাক খবরে। মঙ্গলবার বিএসপি সুপ্রিমো সাফ জানিয়েছেন, রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ক না পর্যন্ত তিনি তাঁর উত্তরসূরি ও দলের জাতীয় সমন্বয়কারীর পদ থেকে ভাইপো আকাশ আনন্দকে সরিয়ে দিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী লিখেছেন, “আকাশ আনন্দকে বিএসপির জাতীয় সমন্বয়কারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল এবং এই আন্দোলনকে গতি দেওয়ার জন্য তাঁকে তাঁর উত্তরসূরি ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু দল ও আন্দোলনের বৃহত্তর স্বার্থে পূর্ণ পরিপক্কতা অর্জন না করা পর্যন্ত তাঁকে এই গুরুত্বপূর্ণ দুটি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” তিনি (Mayawati) বলেন, “তাঁর ভাই এবং আকাশের বাবা আনন্দ কুমার আগের মতোই তাঁর দায়িত্ব পালন করে যাবেন।”

আকাশের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরে দলীয় সংগঠন ঢেলে সাজান মায়াবতী। সেই সময় আকাশকে বিএসপির জাতীয় সমন্বয়কারী ঘোষণা করা হয়। গত ডিসেম্বরে লখনউয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মায়াবতীর উত্তরসূরি হিসেবে আকাশের নামও ঘোষণা করা হয়। যে রাজ্যগুলিতে সংগঠন দুর্বল ছিল সেখানে দলীয় কাজকর্ম পরিচালনার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল আকাশকে। অথচ বছর ঊনত্রিশের আকাশের রাজনীতিতে অভিজ্ঞতা বছর সাতেকের। এর আগে দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে লন্ডনে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে ভারতে ফিরেছিলেন আকাশ। তার পর থেকেই পিসিমণির দলের নেতা হয়ে উঠতে থাকেন তিনি।

আরও পড়ুুন: সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুইজ্জুর দল, তবুও ভারত-নির্ভর থাকতে হবে মলদ্বীপকে
ঠিক যেমন বাংলায়। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ এবং এমবিএ পাশ করার পর কিছুদিন চাকরিও করেন। পরে ঢুকে পড়েন ‘পারিবারিক’ দলে। দ্রুত হয়ে ওঠেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। অভিষেক বেশি বয়সে রাজনীতিতে যোগ দিলেও, তাঁর পিসি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (যাঁকে তিনি দিদি বলে ডাকেন) অবশ্য দাবি করেন, “অভিষেক দু’বছর বয়স থেকে রাজনীতি করে। আমায় যখন সিপিএম মেরেছিল, তখন বাড়িতে একা একা ঝান্ডা হাতে মিছিল করত, দিদিকে মারলে কেন সিপিএম জবাব দাও বলত।” রাজনৈতিক মহলের মতে, দলে যাতে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে অভিষেকের ‘অভিষেক’ নিয়ে কোনও প্রশ্ন না ওঠে, তাই আগাম গাওনা গেয়ে রেখেছিলেন (Mayawati) তৃণমূল নেত্রী।

সত্য সেলুকস, কি বিচিত্র এই ...!

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles