মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জোর করে ভারতীয়দের রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে। অন্য কাজের প্রলোভনে তাঁদেরকে রাশিয়াতে নিয়ে গিয়ে সেনাবাহিনীতে (Indians in Russian Army) জোর করে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হতে থাকে। এই ঘটনায় যুদ্ধক্ষেত্রে নিহতও হয় বেশ কয়েকজন ভারতীয়। বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে ভারত সরকার। এবার এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে চলেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) বর্তমানে রয়েছেন রাশিয়া সফরে। এ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আর তারপরেই রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিল পুতিন সরকার। এই ঘটনা ভারতের একটা বড় কূটনৈতিক জয় (Indians in Russian Army) হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সোমবারে রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Indians in Russian Army)
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবারে রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Modi)। সেখানে দুজনের মধ্যে একান্ত কিছুক্ষণ কথা হয়। নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নিজেদের মধ্যে মত নিয়ে বিনিময় করেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। এখানে অন্যতম বিষয় ছিল রুশ সেনায় ভারতীয়দের নিয়োগ (Indians in Russian Army)। এ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। আর প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের সাড়া দিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রুশ সরকার।
গত ফেব্রুয়ারি মাসেই বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, ২০ জন ভারতীয় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ আড়াই বছর হতে চললেও এখনও শেষ হয়নি। সেই যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াই করতে গিয়ে সাম্প্রতিককালে প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক ভারতীয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, ২০ জন ভারতীয় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, রাশিয়াতে সেনাবাহিনীতে যাঁদেরকে জোর করে কাজে লাগানো হয়েছে। এরপরে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার সমস্ত রকমের চেষ্টা করা হয়। জানা গিয়েছে, দুবাইকেন্দ্রিক একটি সংস্থার মাধ্যমে রাশিয়া সেনাবাহিনীতে ভারতীয়দের নিয়োগ করা হত। ইউটিউব বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁদের কাছে প্রলোভনের ফাঁদ পাতা চলত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours