Zika virus: গর্ভবতীদের বিপদ বাড়াচ্ছে জিকা! কতখানি বিপজ্জনক এই ভাইরাস?

Pregnant Women: মার্তৃগর্ভে থাকা শিশুও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে! কী আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা?
Zika_Virus
Zika_Virus

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

মশাবাহিত রোগের দাপটে জেরবার বঙ্গবাসী। বর্ষা শুরু হতেই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তার মধ্যেই আরেক নতুন ভাইরাসের শক্তি বৃদ্ধি বাড়তি চিন্তা তৈরি করল। এমনটাই জানাচ্ছেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল। মহারাষ্ট্র সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিয়েছে জিকা ভাইরাসের (Zika virus) দাপট। বিশেষত গর্ভবতী মহিলাদের উপরে এই ভাইরাসের বাড়তি প্রকোপ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তাই আগাম সচেতনতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

কেন উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য প্রশাসন? (Zika virus)

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি-র তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে পাঠানো নমুনায় জিকা ভাইরাসের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাতে না যায়, সে দিকে এখন থেকেই কড়া নজরদারি জরুরি বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তাই জিকা-র সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেও দ্রুত প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, গর্ভবতী মহিলারা এই সংক্রমণের বেশি শিকার হচ্ছেন। ইতিমধ্যে দেশের একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে জিকা আক্রান্ত হয়ে গর্ভবতী মহিলাদের ভর্তির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আর তাই এই সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ ও বাড়ছে‌।

জিকা সংক্রমণ কী?

বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জিকা (Zika virus) একটি মশাবাহিত রোগ। মূলত, এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে যায়। মার্তৃগর্ভে থাকা শিশুও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এর জেরে প্রাণনাশের মতো ঘটনাও ঘটে।

জিকা ভাইরাসের উপসর্গ কী? (Zika virus)

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। রোগীর মারাত্মক মাথার যন্ত্রণা হয়। পেশিতেও ব্যথা হয়। দেহের বিভিন্ন জায়গায় ফুসকুড়ি হয়। পাশপাশি কনজাংটিভাইটিসের মতোই চোখ লালচে হয়ে যায়। চোখের ভিতরে এক ধরনের ব্যথা অনুভব হয়। তাই এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা নিশ্চিত করা যায়। আর দ্রুত রোগ নির্ণয় হলে তা নিরাময় সহজ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles