Mob Lynching: মহরমের মিছিল থেকে ছড়ায় হিংসা, উত্তরপ্রদেশে গণপিটুনিতে মৃত তেজরাম

Muharram Violence: মহরমে হিংসার মর্মান্তিক পরিণতি উত্তরপ্রদেশের বরেলি জেলায়!
Untitled_design(732)
Untitled_design(732)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের মহরমে (Muharram Violence) ভারতের বিভিন্ন অংশে সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর মিলেছে। 'হিন্দুস্থান মে রেহনা হ্যায়, তো আল্লাহু আকবর কহেনা হ্যায়'-এর মতো স্লোগানও উঠেছে বেশ কয়েকটি জায়গায়। ঘটেছে গণপিটুনিতে (Mob Lynching) হত্যার ঘটনাও। তবে ভারতের বেশির ভাগ মিডিয়া হাউসই এ ধরনের কোনও খবর প্রকাশ করেনি। মহরমের সময় উত্তরপ্রদেশের বরেলি জেলা থেকে একটি গণপিটুনিতে হত্যার কথা জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৬ বছর বয়সি এক হিন্দু যুবক তেজরাম।

বিবাদের (Mob Lynching) সূত্রপাত কীভাবে?

গত ১৭ জুলাই ওই জেলার গৌসগঞ্জ এলাকায় মহররমের একটি মিছিল স্থানীয় হিন্দু মন্দিরের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এই সময় পুজোর কারণে ওই মহরমের মিছিলের উদ্যোক্তাদের বাজনা বাজাতে নিষেধ করেন স্থানীয় হিন্দুরা। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ১৮ জুলাই স্থানীয় তেজরাম নামের ওই হিন্দু যুবককে মহরমের উদ্যোক্তারা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে বলে জানা যায়। ১৭ জুলাই থেকেই বিবাদ শুরু হয়। ওই দিন থেকেই স্থানীয় হিন্দুদের ওপর হামলা শুরু হয়। জানা গিয়েছে, হিন্দু বাড়িগুলিতে লুট চলে। স্থানীয় হিন্দু বাড়িগুলিতে পাথর ছোড়া হয় (Mob Lynching) এবং মহিলাদেরও কটূক্তি করা হয়। পুলিশ-প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে আসার পরেও ওই বিবাদ চলতেই থাকে বলে জানা যায়।

গুরুতর আঘাতে মারা যান তেজরাম (Mob Lynching)

বরেলি জেলার রামপুর, শিবগঞ্জ, দেবরানিয়া প্রভৃতি জায়গা থেকে ভিড় একত্রিত হতে থাকে। পাথর-লাঠি সহ স্থানীয় হিন্দু বাড়িগুলির ওপর হামলা চলতেই থাকে। জানা যায়, এই সময়ে তেজরাম বাড়িতে ছিলেন এবং তাঁকে ওই ভিড় টেনে স্থানীয় একটি মসজিদে নিয়ে যায় এবং সেখানেই তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। ১৮ জুলাই এই মারধরের (Muharram Violence) ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান তেজরাম। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রায় ৮০ থেকে ১০০ জনের ভিড় তেজরামের বাড়িতে হামলা চালায় এবং তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। স্থানীয় এক পুলিশকর্তা অমিত কুমার জানিয়েছেন, আহত তেজরাম চিকিৎসার সময় মারা যান। পরে তাঁর দেহ ময়নাতদন্ত হয়। পোস্টমর্টেমের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে যে বর্বরভাবে হামলা চালানো হয় এবং মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

গ্রেফতার ৩৫, অভিযুক্তদের ৯টি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল যোগী সরকার

এই ঘটনার পরেই পুলিশ (Mob Lynching) এখনও পর্যন্ত ৫০ জন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পেরেছে এবং তাদের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। এর পাশাপাশি ১৫ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে যোগী রাজ্যের পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলি হল, আফসার আলি, ইমরান, মুখতিয়ার আলি, আবদুল সালাম ইত্যাদি। জানা গিয়েছে, গ্রেফতারের সময় কয়েকজন অভিযুক্ত পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায়। আবার পাল্টা পুলিশও গুলি চালাতে থাকে। এই গুলি লেগে আলমগীর নামে এক অভিযুক্ত আহত হয়েছেন। গুলিতে আহত হয়েছেন এক কনস্টেবলও। গত ২৩ জুলাই থেকে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে যোগী সরকার এবং সেদিনই অভিযুক্তদের নয়টি বাড়ি বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles