মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (জিএসআই) এর প্রতিনিধিত্বকারী বিজ্ঞানী দলগুলি জাতীয় ভূ-বিজ্ঞান পুরস্কার - ২০২৩ (Geoscience Award 2023) জয়লাভ করেছে। মঙ্গলবার নয়াদিল্লির (New Delhi) রাষ্ট্রপতি ভবন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এই বছর তিনটি দলগত বিভাগ সহ ২১ জন ভূ-বিজ্ঞানীকে ১২টি পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
কাদের পুরস্কৃত করা হয়? (Geoscience Award 2023)
লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কারটি ধীরাজ মোহন বন্দোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছে, যিনি প্রিক্যামব্রিয়ান সেডিমেন্টোলজিতে বিশেষজ্ঞ। এর আগে তিনি জিএসআই-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৬ সালে খনি মন্ত্রকের উদ্যোগে ন্যাশনাল জিওসায়েন্স পুরস্কার (Geoscience Award 2023) চালু হয়েছিল। এটি দেশের প্রাচীনতম পুরস্কারগুলির মধ্যে একটি। এই পুরস্কার সাধারণত খনিজ আবিষ্কার এবং অনুসন্ধান, খনির প্রযুক্তি, খনিজ উপকারিতা, প্রয়োগকৃত ভূ-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কাজ করা ব্যক্তি এবং দল উভয়ের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেয়। খনিজ আবিষ্কার ও অন্বেষণ বিভাগে দলগত পুরস্কারের বিজয়ীরা হলেন অভিষেক কুমার শুক্লা, দানিরা স্টিফেন ডি'সিলভা, পরশুরাম বেহেরা, এমএন প্রবীণ এবং সঞ্জয় সিং, শৈলেন্দ্র কুমার প্রজাপতি, শশাঙ্ক শেখর সিং এবং কেভিংগুজো চ্যাসি সহ জিএসআইয়ের দলগুলি।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে শ্যামবাজারে আজ থেকে ধর্না বিজেপির
মৌলিক বিজ্ঞান বিভাগে পুরস্কার
মৌলিক বিজ্ঞান বিভাগে পুরস্কার জিতেছে এমন আরেকটি জিএসআই দল। তার সদস্যরা হলেন— কৃষ্ণ কুমার, প্রজ্ঞা পান্ডে, ত্রিপর্ণা ঘোষ এবং দেবাশিস ভট্টাচার্য। স্বতন্ত্র পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশেনোগ্রাফির পবন দেওয়ানগান, হর্ষ কুমার ভার্মা, সিএসআইআর (সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ মাইনিং অ্যান্ড ফুয়েল রিসার্চ) নরসিমা মঙ্গদোদ্দি, আইআইটি- হায়দরাবাদ, ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশেন রিসার্চ থেকে রাহুল মোহন, বিক্রম বিশাল (আইআইটি-বম্বে), বান্টু প্রশান্ত কুমার পাত্র, (ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) এবং শ্রীমন্ত তিরুমালা গুদেমেলা রঘুকান্ত, (আইআইটি-মাদ্রাজ)। তিরুবনন্তপুরমের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইআইএসইআর) আশুতোষ পান্ডেকে তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কার (Geoscience Award 2023) প্রদান করা হয়েছে।
কলকাতায় জাতীয় ভূমিধস পূর্বাভাস কেন্দ্র স্থাপন
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রাণহানির ঘটনা কমাতে দুর্যোগের পূর্বাভাস ব্যবস্থাকে ত্রুটিহীন এবং আরও দৃঢ় করে তোলার প্রয়োজন। আগাম সতর্কতা দিতে কলকাতায় জাতীয় ভূমিধস পূর্বাভাস কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হয়ে ওঠার জন্য ভারতের খনিজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হওয়া জরুরি। খনিজ ক্ষেত্রের উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশে যে সংস্কার ও নতুন নতুন উদ্ভাবন হচ্ছে তা কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়নকেই উৎসাহিত করছে না, পরিবেশ সুরক্ষাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours